ETV Bharat / state

Raju Murder Eyewitness in Trauma: রাজুকে খুন হতে দেখেছেন, আতঙ্কে আজও ঝালমুড়ি বিক্রি করতে যান না জিয়া শেখ - রাজু ঝা

চোখের সামনে রাজু ঝা-কে খুন হতে দেখেছেন ঝালমুড়িওয়ালা আবু জিয়া শেখ ৷ আতঙ্কে আজও তিনি ব্যবসার কাজে বেরতে পারেননি ৷

Raju Murder Eyewitness in Trauma ETV Bharat
রাজু ঝায়ের খুনের প্রত্যক্ষদর্শী
author img

By

Published : Apr 12, 2023, 3:58 PM IST

Updated : Apr 12, 2023, 7:46 PM IST

রাজু ঝায়ের খুনের প্রত্যক্ষদর্শী

শক্তিগড়, 12 এপ্রিল: রাজু ঝা খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবু জিয়া শেখ । চোখের সামনে এইভাবে গুলি চালানো দেখার পরে আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন তিনি । কোনও রকমে ওই দিন তিনি বাড়ি ফেরেন । তিনি নিজে একজন হার্টের রোগী । দিন কয়েক পরে তাঁর বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার কথা আছে । সে দিনের কথা ভাবলে আজও তাঁর বুক কাঁপে । আতঙ্কে তারপর থেকে আজও তিনি ঝালমুড়ি বিক্রি করতে যেতে পারেননি ।

এ দিন আবু জিয়া শেখ বলেন, সে দিন ছিল শনিবার । সন্ধে সাতটা নাগাদ ঝালমুড়ি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল । এমনিতেই রোজা চলছে ৷ ফলে বিক্রি শেষ হলেই বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে তাঁর । কাজ প্রায় শেষ করে সামনের একটা ডাস্টবিনে সবজির খোসা ফেলতে গিয়েছিলেন তিনি । সেই সময় একটা সাদা গাড়ি এসে দাঁড়ায় । গাড়ি থেকে একজন নেমে এসে একঠোঙা ঝালমুড়ি চান । ঝালমুড়ি নেওয়ার মিনিট খানেক পরে আরও এক ঠোঙা মুড়ি চান তিনি । তার দু-এক মিনিটের মধ্যে তিনি আরও এক ঠোঙা মুড়ি নিয়ে যান । মনে মনে বিরক্ত হলেও ফের ঝালমুড়ি বানিয়ে দেন আবু জিয়া শেখ ।

এরপরেই হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায় । চোখের সামনে জিয়া শেখ দেখেন, দুই দুষ্কৃতী গুলি ছুড়তে শুরু করেছে । ভয়ে তাঁর হাড়হিম হয়ে যায় ৷ গলা থেকে কোনও আওয়াজ বেরচ্ছিল না ৷ এ দিকে ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় । রাস্তায় প্রচুর মানুষ ছুটে আসে । ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফেরেন আবু জিয়া শেখ । কিন্তু আজও আতঙ্ক কাটেনি তাঁর ।

তিনি জানিয়েছেন, তাঁর হার্টের সমস্যা রয়েছে । কিছুদিন পরে বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার কথা আছে তাঁর । এ দিকে এই ঘটনা চোখের সামনে ঘটায় সেই আতঙ্ক তাঁর পিছু ছাড়ছে না ।

প্রসঙ্গত, 1 এপ্রিল শনিবার রাতে দু নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতা যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন রাজু ঝা ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের । শক্তিগড়ের কাছে রাজু ঝায়ের গাড়ির সামনে অন্য একটা নীল গাড়ি থেকে রাজুকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় । গাড়ির ভিতরেই লুটিয়ে পড়েন রাজু ।

পুলিশ জানতে পেরেছে, গাড়ির চালকের পাশেই বসেছিলেন তিনি । পিছনের আসনে ছিলেন রাজুর সহকর্মী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় । এ ছাড়া পিছনের আসনে আরও একজন ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে । সম্ভবত তাঁর নাম আবদুল লতিফ । গরু পাচারকারী হিসেবে তাঁর নাম আগেই জড়িয়েছে । তবে তিনি আদৌ গাড়িতে ছিলেন কি না, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ ।

জানা গিয়েছে, গাড়ি থামার পরে লতিফ (যদি গাড়িতে থাকে) ও গাড়ির চালক নিচে নেমে ঝালমুড়ি কিনছিলেন । সেই সময় একটা নীল চারচাকা গাড়ি সেই সাদা গাড়ির পিছনে এসে দাঁড়ায় । সেই গাড়ি থেকে দুই যুবক নেমে আসে । এর মধ্যে একজন রড হাতে সামনে এগিয়ে গিয়েই রাজুর পাশের কাঁচের দরজা ভেঙে ফেলে । এরপরেই দুজনে মিলে রাজুকে সামনে ও পিছন থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়ে গাড়িতে চেপে উধাও হয়ে যায় । তবে ঘটনার পরে 11 দিন কেটে গেলেও পুলিশ এই ঘটনায় এখনও কারওকে গ্রেফতার করতে পারেনি ।

আরও পড়ুন: খুন করে ধীরে সুস্থে গাড়িতে ওঠে দুষ্কৃতীরা, মিলল রাজু ঝা খুনের সিসিটিভি ফুটেজ

রাজু ঝায়ের খুনের প্রত্যক্ষদর্শী

শক্তিগড়, 12 এপ্রিল: রাজু ঝা খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবু জিয়া শেখ । চোখের সামনে এইভাবে গুলি চালানো দেখার পরে আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন তিনি । কোনও রকমে ওই দিন তিনি বাড়ি ফেরেন । তিনি নিজে একজন হার্টের রোগী । দিন কয়েক পরে তাঁর বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার কথা আছে । সে দিনের কথা ভাবলে আজও তাঁর বুক কাঁপে । আতঙ্কে তারপর থেকে আজও তিনি ঝালমুড়ি বিক্রি করতে যেতে পারেননি ।

এ দিন আবু জিয়া শেখ বলেন, সে দিন ছিল শনিবার । সন্ধে সাতটা নাগাদ ঝালমুড়ি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল । এমনিতেই রোজা চলছে ৷ ফলে বিক্রি শেষ হলেই বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে তাঁর । কাজ প্রায় শেষ করে সামনের একটা ডাস্টবিনে সবজির খোসা ফেলতে গিয়েছিলেন তিনি । সেই সময় একটা সাদা গাড়ি এসে দাঁড়ায় । গাড়ি থেকে একজন নেমে এসে একঠোঙা ঝালমুড়ি চান । ঝালমুড়ি নেওয়ার মিনিট খানেক পরে আরও এক ঠোঙা মুড়ি চান তিনি । তার দু-এক মিনিটের মধ্যে তিনি আরও এক ঠোঙা মুড়ি নিয়ে যান । মনে মনে বিরক্ত হলেও ফের ঝালমুড়ি বানিয়ে দেন আবু জিয়া শেখ ।

এরপরেই হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায় । চোখের সামনে জিয়া শেখ দেখেন, দুই দুষ্কৃতী গুলি ছুড়তে শুরু করেছে । ভয়ে তাঁর হাড়হিম হয়ে যায় ৷ গলা থেকে কোনও আওয়াজ বেরচ্ছিল না ৷ এ দিকে ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় । রাস্তায় প্রচুর মানুষ ছুটে আসে । ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফেরেন আবু জিয়া শেখ । কিন্তু আজও আতঙ্ক কাটেনি তাঁর ।

তিনি জানিয়েছেন, তাঁর হার্টের সমস্যা রয়েছে । কিছুদিন পরে বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার কথা আছে তাঁর । এ দিকে এই ঘটনা চোখের সামনে ঘটায় সেই আতঙ্ক তাঁর পিছু ছাড়ছে না ।

প্রসঙ্গত, 1 এপ্রিল শনিবার রাতে দু নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতা যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন রাজু ঝা ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের । শক্তিগড়ের কাছে রাজু ঝায়ের গাড়ির সামনে অন্য একটা নীল গাড়ি থেকে রাজুকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় । গাড়ির ভিতরেই লুটিয়ে পড়েন রাজু ।

পুলিশ জানতে পেরেছে, গাড়ির চালকের পাশেই বসেছিলেন তিনি । পিছনের আসনে ছিলেন রাজুর সহকর্মী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় । এ ছাড়া পিছনের আসনে আরও একজন ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে । সম্ভবত তাঁর নাম আবদুল লতিফ । গরু পাচারকারী হিসেবে তাঁর নাম আগেই জড়িয়েছে । তবে তিনি আদৌ গাড়িতে ছিলেন কি না, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ ।

জানা গিয়েছে, গাড়ি থামার পরে লতিফ (যদি গাড়িতে থাকে) ও গাড়ির চালক নিচে নেমে ঝালমুড়ি কিনছিলেন । সেই সময় একটা নীল চারচাকা গাড়ি সেই সাদা গাড়ির পিছনে এসে দাঁড়ায় । সেই গাড়ি থেকে দুই যুবক নেমে আসে । এর মধ্যে একজন রড হাতে সামনে এগিয়ে গিয়েই রাজুর পাশের কাঁচের দরজা ভেঙে ফেলে । এরপরেই দুজনে মিলে রাজুকে সামনে ও পিছন থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়ে গাড়িতে চেপে উধাও হয়ে যায় । তবে ঘটনার পরে 11 দিন কেটে গেলেও পুলিশ এই ঘটনায় এখনও কারওকে গ্রেফতার করতে পারেনি ।

আরও পড়ুন: খুন করে ধীরে সুস্থে গাড়িতে ওঠে দুষ্কৃতীরা, মিলল রাজু ঝা খুনের সিসিটিভি ফুটেজ

Last Updated : Apr 12, 2023, 7:46 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.