বর্ধমান, 23 নভেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষকে(Saayoni Ghosh) গ্রেফতারের প্রতিবাদে বর্ধমান শহরের দু‘টি জায়গায় পৃথকভাবে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের (tmc agitation burdwan) নেতা-কর্মীরা। তাহলে কি গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের আলাদা আলাদা বিক্ষোভ মিছিল ? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এদিন বিভিন্ন ব্লক এবং ওয়ার্ড এলাকায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন। তাই গোষ্ঠীকোন্দলের প্রশ্নই ওঠে না।
সোমবার বিকেলে বর্ধমান শহরের কার্জনগেট এলাকায় প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ(Swapan Debnath)। বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক শম্পা ধাড়া, বিধায়ক অলোক মাঝি প্রমুখরা। অন্যদিকে সেখান থেকে 50 মিটারের মধ্যে টাউন হলের সামনে জিটি রোডে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের অপর গোষ্ঠী। সেই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার। 50 মিটারের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দু‘টি আলাদা আলাদা প্রতিবাদ সভা কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: মিড-ডে-মিলের টাকা তছরূপের অভিযোগ, কাঠগড়ায় বর্ধমানের নামকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক
রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ(Swapan Debnath) বলেন, "ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে আমাদের রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ সভা শুরু হয়েছে। সেইমতো বর্ধমানেও বিক্ষোভে আমরা সামিল হই। ত্রিপুরায় যেভাবে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসকে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কর্মী-নেতাদের আক্রমণ করা হচ্ছে তারই প্রতিবাদে কার্জন গেট চত্বরে আমরা বিক্ষোভে সামিল হই।" বিধায়ক তথা জেলার যুবনেতা অলোক মাঝি বলেন, "দলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। আমাদের নির্দেশ আছে প্রতি এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করার ৷ সেইমতো অনেকেই আলাদা করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। "