বর্ধমান, 15 মার্চ: বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) ও মেমারি 2 নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়েছে (TMC Inner Clash)। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইসমাইলকে গ্রেফতার করতে হবে, সেই গ্রেফতার করতে পুলিশ দেরি করছে কেন সেই প্রশ্ন তুলে তোপ দাগেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এমনকী পুলিশ যদি তাঁকে গ্রেফতার না-করে তাহলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার হুমকিও দিয়েছেন মন্ত্রী। যা নিয়ে দলের অন্দরে নেতা কর্মীরা রীতিমতো বিরক্ত। বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্বের কানেও পৌঁছেছে।
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, জেলাশাসকের কাছে একটা চিঠি দিয়েছি যেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সাতগেছিয়াতে রবীন্দ্র-নজরুল কলেজের জন্য জমি প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি রবীন্দ্র-নজরুল অর্গানাইজিং কমিটির সম্পাদক নিজের নামে নথিভুক্ত করেন। সেই সম্পাদক হচ্ছেন মেমারি 2 নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল। কীভাবে ইসমাইল সেই জমি নিজের নামে নথিভুক্ত করেছেন সেটা দেখার জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন করেছেন মন্ত্রী।
কীভাবে একজন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এইভাবে প্রকাশ্যে দলীয় অপর নেতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। এর ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই দল বিষয়টি নজরে রাখছে। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, "আমাদের দলের কর্মাধ্যক্ষ তথা দলের নেতা মহম্মদ ইসমাইল ওই কলেজ তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। সেখানকার সাধারণ মানুষ তো দেখছেন কাজ কতটা এগিয়েছে, কীভাবে সেই কাজ হচ্ছে এটা নিয়ে তো বিতর্কের কিছু নেই।"
আরও পড়ুন: মালদায় প্রকাশ্যে শাসক দলের কোন্দল, অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান
তিনি আরও বলেন, "মহম্মদ ইসমাইল পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন কার জমি, কী ব্যাপার সবই বলেছেন। এরপরেও যদি কেউ অভিযোগ করে সেটা দলের নজরে আছে। কেউ যদি ভাবে দলকে অপদস্থ করার জন্য কোনও দলীয় নেতাকে অপদস্থ করার জন্য মিডিয়ার সামনে বসে পড়লাম এটা তৃণমূল কংগ্রেসে হবে না। সে যত বড়ই মন্ত্রী হোক, দল ছেড়ে কথা বলবে না। তৃণমূল কংগ্রেসে দলের শৃঙ্খলা সকলকেই মানতে হবে। কেউ যদি মনে করে সে কেউকেটা হয়ে গিয়েছে সে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।