কালনা, 16 মার্চ : কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান ঘোষণা হওয়ার পরে আনন্দ দত্তকে মানতে চায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ । শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ । পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে ছুটে যান রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন 10 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিল বসু (Kalna Municipality Oath Clash) । পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে মন্ত্রীর সামনেই পৌরসভার বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিতে যান এই কাউন্সিলর । ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কালনা পৌরসভায় । পরে কাউন্সিলরদের ভোটাভুটির জেরে নতুন পৌরপ্রধান নির্বাচিত হন তপন পোড়েল । তবে দলের তরফে কারও নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি ৷
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে কালনা পৌরসভাতে শপথ নেওয়ার দিন ছিল আজ । কিন্তু কাউন্সিলরদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে মানতে চাননি । সেই খবর জানার পরই প্রতিবাদে সরব হলেন চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তর অনুগামীরা । তাঁরা কালনা পৌরসভার সামনে বসে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দলের নির্দেশ সকলকে মানতে হবে । এরপরেই তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে মন্ত্রীর কথা কাটাকাটি শুরু হয় । তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা পৌরসভার 18টি আসনের মধ্যে 12 জন কাউন্সিলর হচ্ছেন কালনার ভাইস-চেয়ারম্যান তপন পোড়েলের অনুগামী বলে পরিচিত । বাকিরা কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগের অনুগামী বলে পরিচিত । তপন পোড়েলের অনুগামীদের আশা ছিল, তপন পোড়েলকে কালনার চেয়ারম্যান করা হবে । কিন্তু তৃণমূলের জেলা সভাপতি কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে আনন্দ দত্ত ও ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে তপন পোড়েলের নাম ঘোষণার পরেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে তপন পোড়েলের অনুগামীরা ।
আরও পড়ুন: পৌরসভার চেয়ারম্যানের পদ পাননি, বিক্ষুব্ধ বর্ধমানের শহর তৃণমূল সভাপতি
বুধবার কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই তপন পোড়েলের অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারে সেটা অনুমান করে আনন্দ দত্তর অনুগামীরা প্রতিবাদ জানিয়ে পৌরসভার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সভাপতি তথা জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি । খবর পেয়ে সেখানে যান রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । তিনি কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, দল যাকে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা সকলকে মেনে নিতে হবে । কোনওভাবেই কেউ সেটা অমান্য করতে পারবে না । এদিকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় কালনা পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিল বসুর । পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে কালনা পৌরসভার বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিতে যান এই কাউন্সিলর । পরে 12 জন কাউন্সিলরের ভোটে পৌরপ্রধান নির্বাচিত হন তপন পোড়েল, যা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে ।