মেমারি, 21 অক্টোবর : উত্তরাখণ্ড বেড়াতে গিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে পড়েছেন রাজ্যের অনেক পর্যটক। এর মধ্যে আছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির তিন জন পর্যটকও। ওই তিন পর্যটকের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির লোকজন মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা রীতিমতো চিন্তিত। ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে পর্যটকরা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের উদ্ধার করার জন্য।
ভিডিয়ো বার্তায় তাঁরা জানিয়েছেন, সেখানে দিন দিন তাপমাত্রা কমে আসছে, ফুরোচ্ছে খাবারও। সেই খাবারে কদিন চলবে তা তাঁরা জানেন না। আটকে পড়া ওই পর্যটকদের পরিবারের লোকজন চাইছেন সরকার যেন দ্রুত তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে। উত্তরাখন্ডের পাহাড়ি ধসে মেমারির যে তিন বাসিন্দা আটকে পড়েছেন তাঁরা হলেন মেমারির পারিজাত নগরের বাসিন্দা সঞ্জয় অধিকারী, মেমারি পুরসভার 5 নং ওয়ার্ডের এল আই সি অফিস পাড়ার বাসিন্দা সন্দীপ বৈরাগ্য ও মেমারি পুরসভার 4 নং ওয়ার্ডের শ্রীদুর্গা পল্লি এলাকার বাসিন্দা কমলেশ ঝাঁ।
আরও পড়ুন : Gariahat Double Murder : টাকার জন্য মা-ছেলে সবকিছু করতে পারে, দাবি মিঠুর স্বামী সুভাষের
জানা গিয়েছে, গত অষ্টমীর দিন সন্ধে নাগাদ তাঁরা বর্ধমান থেকে ট্রেন ধরে উত্তরাখণ্ডেক পথে রওনা দেন। উত্তরাখণ্ডের পিথারাগড় জেলার দার্মা ভ্যালির দন্তু গ্রামে তাঁরা আটকে রয়েছেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রাস্তা ধসে গেছে। ফলে তাঁরা উপর থেকে নিচে নেমে আসতে পারছেন না। সেখানে শুরু হয়েছে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও তুষারপাত। সেই সঙ্গে মোবাইল পরিষেবাও ব্যাহত হওয়ায় বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁরা৷ কোনও রকমে সেখান থেকে এক ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন তাঁরা৷ ওই ভিডিয়ো বার্তায় সন্দীপ বৈরাগ্য জানিয়েছেন, প্রতিদিন ঠান্ডা খুব বেড়ে চলেছে সেখানে। উষ্ণতা মাইনাস চার থেকে ছয় ডিগ্রিতে চলে যাচ্ছে মাঝেমাঝেই। খাওয়াদাওয়াও কমে আসছে।
প্রশাসনের কাছে তাঁরা আবেদন করছেন , যেন হেলিকপ্টার দিয়ে তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়৷ কারণে সেখানে রাস্তা বলতে এখন আর কিছু নেই। বৃহস্পতিবার সকালেও তাঁরা পায়ে হেঁটে নামার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। আটকে পড়া পর্যটকদের পরিবার রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্য়বস্থা করতে ৷