ETV Bharat / state

পা দিয়ে অঙ্ক শেখান আজকের 'জগন্নাথ'

জগন্নাথের দুটি হাত নেই, ব্ল্যাকবোর্ডে পা দিয়ে শেখান অংক

পা দিয়ে অঙ্ক শেখাচ্ছেন জগন্নাথ
author img

By

Published : Jul 4, 2019, 6:07 PM IST

Updated : Jul 5, 2019, 12:02 AM IST

আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান), 4 জুলাই : পায়ের দু'আঙুলের ফাঁকে ধরা চক । বোর্ডের গায়ে হেলান দিয়ে লিখে চলেছেন লাইনের পর লাইন । কষে চলেছেন একের পর এক অঙ্ক । মাস্টার মশাইয়ের কথা পড়ুয়ারা শুনছে মন দিয়ে ।

জন্ম থেকেই নেই তাঁর দুটি হাত । জগন্নাথের সঙ্গে মিল রেখেই নাম রাখা হয়েছিল । পড়াশোনা এবং কাজের প্রতি অদম্য জেদ, তাই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়নি জগন্নাথ বাউরির । হাত না থাকায় লেখাপড়া চালানোর জন্য পা-ই ছিল প্রধান ভরসা । পা দিয়েই চালিয়েছেন পড়াশোনা । লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি শুরু করেন জগন্নাথ ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

শুধু নামে নয়, জগন্নাথদেবেরও ভক্ত এই মাস্টারমশাই । ক্লাসে পায়ে লিখেই পড়ান । জ্যামিতি শেখানোর সময় নিখুঁত বৃত্ত আঁকা থেকে শুরু করে যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ সবই শেখাচ্ছেন পায়ে লিখে । স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মোবাসসার হোসেন বলেন, "খুবই সময়-সচেতন জগন্নাথ । পা দিয়ে লিখলেও কোনও ক্লান্তি নেই তাঁর । অবলীলায় নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন । "

আজ রথযাত্রা । রথে অধিষ্ঠিত জগন্নাথদেব যেমন ভক্তদের কাছে মহাপ্রভু, তেমনি আউশগ্রামের জয় কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষকও পড়ুয়াদের কাছে যেন "মহাপ্রভু" । শিক্ষক জগন্নাথের একটাই ইচ্ছা, রথের রশিতে টান দেবেন । যদিও তা কার্যত অসম্ভব । বাস্তব বুঝে মন শক্ত করেছেন । আর ছাত্র-ছাত্রীদের বলছেন, মন দিয়ে পড়াশোনা করার । লড়াই চালালে সাফল্য আসবেই । আর তার জলজ্যান্ত উদাহরণ তো তিনি নিজেই ।

আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান), 4 জুলাই : পায়ের দু'আঙুলের ফাঁকে ধরা চক । বোর্ডের গায়ে হেলান দিয়ে লিখে চলেছেন লাইনের পর লাইন । কষে চলেছেন একের পর এক অঙ্ক । মাস্টার মশাইয়ের কথা পড়ুয়ারা শুনছে মন দিয়ে ।

জন্ম থেকেই নেই তাঁর দুটি হাত । জগন্নাথের সঙ্গে মিল রেখেই নাম রাখা হয়েছিল । পড়াশোনা এবং কাজের প্রতি অদম্য জেদ, তাই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়নি জগন্নাথ বাউরির । হাত না থাকায় লেখাপড়া চালানোর জন্য পা-ই ছিল প্রধান ভরসা । পা দিয়েই চালিয়েছেন পড়াশোনা । লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি শুরু করেন জগন্নাথ ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

শুধু নামে নয়, জগন্নাথদেবেরও ভক্ত এই মাস্টারমশাই । ক্লাসে পায়ে লিখেই পড়ান । জ্যামিতি শেখানোর সময় নিখুঁত বৃত্ত আঁকা থেকে শুরু করে যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ সবই শেখাচ্ছেন পায়ে লিখে । স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মোবাসসার হোসেন বলেন, "খুবই সময়-সচেতন জগন্নাথ । পা দিয়ে লিখলেও কোনও ক্লান্তি নেই তাঁর । অবলীলায় নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন । "

আজ রথযাত্রা । রথে অধিষ্ঠিত জগন্নাথদেব যেমন ভক্তদের কাছে মহাপ্রভু, তেমনি আউশগ্রামের জয় কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষকও পড়ুয়াদের কাছে যেন "মহাপ্রভু" । শিক্ষক জগন্নাথের একটাই ইচ্ছা, রথের রশিতে টান দেবেন । যদিও তা কার্যত অসম্ভব । বাস্তব বুঝে মন শক্ত করেছেন । আর ছাত্র-ছাত্রীদের বলছেন, মন দিয়ে পড়াশোনা করার । লড়াই চালালে সাফল্য আসবেই । আর তার জলজ্যান্ত উদাহরণ তো তিনি নিজেই ।

Intro:জগন্নাথের নেই দুটি হাত, ব্ল্যাক বোর্ডে পা দিয়ে শেখান অংক

পুলক যশ,আউশগ্রাম


তিনি জগন্নাথ বাউরী। প্রভু জগন্নাথ দেবের মত তার দুটি হাত নেই। কিন্তু তাতে কি! ছোট ছোট শিশুদের কাছে তিনি দেবতার আসন পেয়েছেন। দুটি হাত না থাকায় পা দিয়েই শিশুদের তিনি অঙ্ক শেখাচ্ছেন। গড়ে তুলছেন ভবিষ্যতের দেশ গড়ার কারিগরদের।


আউসগ্রামের জয় কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলেই দেখা মিলবে জগন্নাথ বাবুর। তার দুটি হাত নেই কিন্তু তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই। ডান পায়ের দুটি আঙুলের ফাঁকে চককে আটকে নিয়ে অবলীলায় তিনি ছোট ছোট শিশুদের ক্লাস রুমের ব্ল্যাকবোর্ডে অংক শিখিয়ে চলেছেন। গোল করে বৃত্ত আঁকা থেকে শুরু করে যোগ বিয়োগ গুন ভাগ সবই শেখাচ্ছেন পায়ের মাধ্যমে। জগন্নাথ বাউরি বলেন জন্ম থেকেই তার দুটি হাত নেই। যেহেতু প্রভু জগন্নাথ দেবের দুটি হাত নেই সেই কারণে তার নাম রাখার জন্য জগন্নাথ। এবং তিনি প্রভু জগন্নাথ দেবের ভক্ত। প্রতিবছর রথযাত্রা উৎসবে তিনি যোগ দেন কিন্তু রথের রশি টানতে পারেন না।সেটা তার জীবনে এটা আক্ষেপ থাকলেও মনকে শক্ত করেছেন তিনি। তার ছাত্র-ছাত্রীদের উপদেশ দেন তার দুটি হাত না থাকা সত্ত্বেও তিনি কষ্ট করে পড়াশোনা করে পায়ে করে লেখা শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছেন। সেখানে ছোট ছোট শিশুদের হাত পা সবই আছে তাহলে তারা কেন জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না? তিনি তাদের উৎসাহ দেন মন দিয়ে পড়াশোনা করার।

ওই স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মোবাসসার হোসেন বলেন, দুটি হাত না থাকায় তিনি হেঁটে প্রচন্ড রোদ বৃষ্টিতে স্কুলে আসেন। দু কিলোমিটার রাস্তা বাড়ি থেকে হেঁটে যেতে হয়। এরকম শিক্ষককে পেয়ে আমরা নিজেরাও গর্বিত। এত অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও তিনি নিয়মিত সঠিক সময়ে স্কুলে আসেন এবং নিয়মিত সমস্ত ক্লাস করেন তিনি। এত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও যে এইভাবে পড়িয়ে যাচ্ছেন যেটা অভিভাবকদের কাছেও খুব খুব আগ্রহের বিষয়। পায়ের দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে একটা পা-কে বোর্ডের লেভেলে তুলে সেখানে লেখা খুবই কষ্টকর। কিন্তু তিনি অবলীলায় সেই কাজ করে চলেন। সেই কাজ করে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেন। তিনি বলেন আমার হাতের লেখা থেকেও জগন্নাথ বাবুর পায়ের লেখা অনেক বেশি সুন্দর।Body:জগন্নাথের নেই দুটি হাত Conclusion:পা দিয়ে শেখান অংক
Last Updated : Jul 5, 2019, 12:02 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.