ETV Bharat / state

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা পিছানোর দাবিতে উপাচার্যকে ঘেরাও

স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় বর্ষের অনার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই দেওয়া হয়েছে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার সূচি। তাই পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা
author img

By

Published : Feb 19, 2019, 9:58 PM IST

বর্ধমান, ১৯ ফেব্রুয়ারি : স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় বর্ষের অনার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই দেওয়া হয়েছে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার সূচি। প্রতিবাদে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। দাবি, পিছিয়ে দিতে হবে পরীক্ষার তারিখ।

অগাস্ট মাসে হয়েছে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। এখনও প্রকাশ করা হয়নি ফলাফল। অথচ তার আগেই দেওয়া হয়েছে স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার সূচি। জানানো হয়েছে, মার্চ মাসে শুরু হবে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা। আর তাই আজ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বেশ কয়েকটি কলেজের পড়ুয়া অবস্থান বিক্ষোভে বসে। তাদের দাবি, পিছিয়ে দিতে হবে পরীক্ষার তারিখ। পাশাপাশি দ্বিতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের পর অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদেরও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে হবে।

অবস্থানরত সৌরভ মণ্ডল বলেন, "আমাদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দু'মাস দেরি করে হয়েছে। তাই আমাদের দাবি, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা এপ্রিলে নিতে হবে। অথবা ভোটের পরে নিতে হবে। পাশাপাশি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের যে খামখেয়ালিপনা তা বন্ধ করতে হবে। সময়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে না। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছিনিমিনি খেলছে।"

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ নিমাই চন্দ্র সাহা বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম পড়ুয়ারা সর্বভারতীয় পরীক্ষায় যেন বসতে পারে। তাই আমরা এবছর কিছুদিন আগে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা এপ্রিল মাসে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছিল। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখছি। তবে, আজ অবস্থানরত পড়ুয়াদের মূল কী দাবি সেটাই তো কেউ জানায়নি। তাছাড়া, আমাদের কাছে এরকম কোনও তথ্য ছিল না যে ওরা আসবে। আমি এসে দেখি পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আমরা ১০ জন পড়ুয়াকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে নিচে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলতে বলে। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তাদের মূল সমস্যাটা কী? কিন্তু কোনও সমস্যার কথা তারা আমাদের জানায়নি ফলে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।"

undefined

বর্ধমান, ১৯ ফেব্রুয়ারি : স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় বর্ষের অনার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই দেওয়া হয়েছে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার সূচি। প্রতিবাদে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। দাবি, পিছিয়ে দিতে হবে পরীক্ষার তারিখ।

অগাস্ট মাসে হয়েছে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। এখনও প্রকাশ করা হয়নি ফলাফল। অথচ তার আগেই দেওয়া হয়েছে স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার সূচি। জানানো হয়েছে, মার্চ মাসে শুরু হবে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা। আর তাই আজ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বেশ কয়েকটি কলেজের পড়ুয়া অবস্থান বিক্ষোভে বসে। তাদের দাবি, পিছিয়ে দিতে হবে পরীক্ষার তারিখ। পাশাপাশি দ্বিতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের পর অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদেরও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে হবে।

অবস্থানরত সৌরভ মণ্ডল বলেন, "আমাদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দু'মাস দেরি করে হয়েছে। তাই আমাদের দাবি, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা এপ্রিলে নিতে হবে। অথবা ভোটের পরে নিতে হবে। পাশাপাশি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের যে খামখেয়ালিপনা তা বন্ধ করতে হবে। সময়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে না। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছিনিমিনি খেলছে।"

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ নিমাই চন্দ্র সাহা বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম পড়ুয়ারা সর্বভারতীয় পরীক্ষায় যেন বসতে পারে। তাই আমরা এবছর কিছুদিন আগে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা এপ্রিল মাসে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছিল। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখছি। তবে, আজ অবস্থানরত পড়ুয়াদের মূল কী দাবি সেটাই তো কেউ জানায়নি। তাছাড়া, আমাদের কাছে এরকম কোনও তথ্য ছিল না যে ওরা আসবে। আমি এসে দেখি পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আমরা ১০ জন পড়ুয়াকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে নিচে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলতে বলে। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তাদের মূল সমস্যাটা কী? কিন্তু কোনও সমস্যার কথা তারা আমাদের জানায়নি ফলে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।"

undefined
Intro:সন্তোষ দাস, পূর্ব বর্ধমান
- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্ধোপ্যাধায়ের নির্দেশে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের সাথে প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও স্কুল পোশাক এবং জুতো দেবার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই সুয়োগ সুবিধা কোনটাই জুটছে না খোদ বর্ধমান শহরের নামী স্কুল সিএমএসের প্রাথমিক বিভাগের ছাত্রদের। আর এই ঘটনায় অভিভাবকেরা সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলছেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই। এমনকি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরাসরি আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগে সরব হয়েছেন অভিভাবকরা। এই ঘটনার সম্পূর্নভাবে তদন্ত হোক চাইছে অভিভাবকই সহ খোদ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও, তদন্ত চেয়ে তারা আবেদন জানিয়েছেন সরকারী সমস্ত দপ্তরে। আর এই ঘটনার জেরেই রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে শহরজুরে। যদিও সমস্ত অভিযোগকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন প্রধান শিক্ষক সুভাষ চৌধুরী। Body:জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছেন। এব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারী নির্দেশ সকলকেই মেনে চলতে হবে। বর্ধমান শহরের বিসিরোডের খ্যাতনামা স্কুল সিএমএস। আর সেই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগকে নিয়ে গত ২০১৬ সাল থেকেই শুরু হয়েছে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের সঙ্গে বর্তমান প্রধান শিক্ষক সুভাষ চৌধুরীর বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু তারপর সুভাষবাবু দায়িত্ব নেবার পর থেকেই কার্যত স্বেচ্ছাচার চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলে - এমনটাই অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। Conclusion:স্কুলের অভিভাবক দীপক কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর দাবী, আগের প্রধান শিক্ষক চলে যাবার সময় সুভাষবাবুকে ৩৭ হাজার টাকা সহ স্কুলের ফাণ্ডের যাবতীয় হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে যান। সুভাষবাবু তা লিখিতভাবে গ্রহণও করেন। কিন্তু তারপর আর ওই টাকার কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। এমনকি রাজ্য সরকার স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য, খাতা, ব্যাগ, পোশাক, জুতো প্রভৃতি একাধিক সুবিধা দিচ্ছে - যা অন্য স্কুলগুলিতে ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকারী সেই টাকা এই স্কুলে এলেও অজ্ঞাত কারণে তা ছাত্রদের মধ্যে বণ্টন করা হয়নি বিগত কয়েকবছর ধরেই।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.