পূর্ব বর্ধমান, 21 অগস্ট: প্রথমে ধর্ষণ, তারপর এফআইআর তুলতে রাজি না-হওয়ায় নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। অভিযুক্ত বাপন দাস নামে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা। পূর্ব বর্ধমানের মির্জাপুরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সিপিএমের পক্ষ থেকে পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করা হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলও। পালটা মহিলার দাবি, নিজের বাড়িতেই ঢুকতে পারছেন না তিনি। বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ধমান থানার পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে।
আক্রান্ত মহিলা বলেন, "একমাস আগে আমাকে ধর্ষণ করা হয়। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাই। আমাকে ভয় দেখিয়ে সেই মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হয়, মামলা না তুললে আমায় খুন করে দেবে। একটা মোটা চেহারার ছেলে আসে। তার বিজয়রামে বাড়ি। সে শাসকদলের নেতা। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। তারা বলে পার্টি-পুলিশ সব তাদের হাতে। তাই কেউ কিছুই করতে পারবে না। আমার আইনজীবীকেও টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে ৷ বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে । কিন্তু পুলিশ তাতেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয় তৃণমূলকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। আমি বিচারের আশায় ছুটে বেড়াচ্ছি। প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি ৷"
অভিযোগ প্রসঙ্গে, তৃণমূল নেত্রী তথা বিডিএর চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত বলেন, "বাপন দাসের নামে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই ঘটনার পরেও ওই মহিলার কোনও মেডিকেল টেস্ট হয়নি কিংবা গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি তা আমাদের জানা নেই ? আমি পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি ।
বিষয়টি নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, "নির্যাতিতাকে বাড়িতেই থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ পুলিশ দোষী ব্যক্তিকে না ধরে আক্রান্ত মহিলার উপরেই আক্রমণ করছে ! পুলিশের এই ভূমিকা ধর্ষকদের আরও বেপরোয়া করে দিচ্ছে। এসব বন্ধ না হলে আমরা পথে নেমে প্রতিবাদ জানাব।"
আরও পড়ুন : নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক, নির্যাতিতাকে 8 ঘণ্টা বসিয়ে রাখল হাসপাতাল !