বর্ধমান, 19 অগাস্ট : রাজনৈতিক বন্দী শম্ভু সোরেন-সহ অন্যান্যদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন জারি থাকার কথা জানালেন রাজা সরখেল । রবিবার রাতে বর্ধমান জেলা সংশোধনাগার থেকে দীর্ঘ 10 বছর পর মুক্তি পেয়ে ফের একবার এই কথা বললেন তিনি । 2009 সালের সেপ্টেম্বরে জঙ্গলমহলের জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো-সহ 6 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল । এ দিন জেল থেকে বেরিয়ে রাজা সরখেল বলেন, "ছত্রধর মাহাতোর প্রতি আমার কোন আবেগ নেই৷ কিন্তু শশধর মাহাত আমার বুকে থাকবে ।" তাঁর দাবি, 2009 সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের কাটাপাহাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় মিথ্যা মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল ।
2009 সালে বাম সরকার গ্রেপ্তার করে ৷ 2015 সালে তৃণমূল সরকার দোষী সাব্যস্ত করে । আজ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জেল থেকে মুক্তি পেলেও আমি খুশি নই । আমার অন্যান্য বন্ধুরা মিথ্যা মামলায় জেল খাটছে৷ তাদের মুক্তির জন্য আমি আমার লড়াই চালিয়ে যাব ।"
2009-এ গ্রেপ্তারের পর 2015-র মে মাসে মেদিনীপুরের দায়রা আদালত ছত্রধরদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় । বাম আমলে গ্রেপ্তার এবং কমিটির নেতা-সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন তুলেছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীরা । 'সাজানো মামলা' থেকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি উঠেছে । যদিও রাজ্যে পালাবদলের পরেও মুক্তি মেলেনি । কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় ছত্রধর-সহ 6 জনকে সাজার নির্দেশের পরই হাইকোর্টে যান ছত্রধরদের আইনজীবীরা । ছত্রধর, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন, সগুন মুর্মু, রাজা সরখেল, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়দের মুক্তির আর্জিতে সওয়াল করেন শেখর বসু । এই মামলায় রাজা সরখেলের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি মুক্তি পান ৷