বর্ধমান, 24 জুন: তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় হালদারকে গ্রেফতার করেছে । সঞ্জয়কে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়ে বলে অভিযোগ বিজেপির । তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ফেসবুকে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তার জেরে এলাকায় জনরোষ তৈরি হয় । পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসির আদরাহাটিতে সায়নী ঘোষের জনসভা ছিল । সেই প্রসঙ্গে ফেসবুকে দুকুল হালদার ওরফে সঞ্জয় হালদার সায়নী ঘোষের শিবলিঙ্গ বিতর্ক তুলে ধরে মন্তব্য করেন । যার জেরে বিতর্ক শুরু হয় ।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, গলসির আদরাহাটির সভা নিয়েই সায়নী ঘোষ সম্বন্ধে ফেসবুকে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় হালদার । সঞ্জয় হালদার ফেসবুকে দুকুল হালদার নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলেন । তাঁর ফেসবুকে মন্তব্যের জেরে এলাকায় জনরোষ সৃষ্টি হয় । তার বিরুদ্ধে গলসি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে ।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ শিবলিঙ্গ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন । দুকুল হালদার নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে সেই বিষয়টি তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট করেন । ওই দুকুল হালদারই সঞ্জয় হালদার । যিনি গলসির আদরাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন । তাই তাঁকে ফাঁসিয়ে দিয়ে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে জেলে পাঠিয়ে তৃণমূল নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করছে ।
আরও পড়ুন: বাংলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে রাজীব-মমতা জুটি, তোপ অগ্নিমিত্রার
বিজেপি নেতা সুধীর রঞ্জন সাউ বলেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় হালদারকে কীভাবে হেনস্তা করে ভোট প্রচার থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস । এটা নোংরা রাজনীতি । এলাকায় সঞ্জয় হালদারের একটা প্রভাব আছে । তাই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করানো হয়েছে ।’’
সায়নী ঘোষের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘তাঁর সম্বন্ধে নতুন করে কিছু বলার নেই । তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা যখন দেশের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কুরুচির মন্তব্য করেন, তখন তাঁদের শাস্তি হয় না । অথচ বিরোধী দলের উপরেই এই ধরনের অত্যাচার করা হচ্ছে ।’’
তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে গলসির আদরাহাটিতে রাজ্যের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের প্রচার সভা ছিল । সেই প্রচার সভার আগে থাকতেই বিজেপি প্রার্থী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে তৃণমূলের ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচির মন্তব্য করতে থাকেন । ফলে সেখানে জনরোষের সৃষ্টি হয় । ওই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে । পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে ।’’
আরও পড়ুন: নির্দল হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাহার না-করলে কড়া ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি তৃণমূলের জেলা সভাপতির