ETV Bharat / state

Priyanka Adak 8th in HS: বিদ্যাসাগরের জীবন সংগ্রামই অনুপ্রেরণা! খেত মজুরি করেও উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম প্রিয়াঙ্কা

author img

By

Published : Jun 18, 2022, 9:09 PM IST

Updated : Jun 18, 2022, 9:22 PM IST

বর্ধমানের দামোদরের চরের ছোট্ট গ্রাম বংপুর চাষিমানার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা আদক (Priyanka Adak from Purbe Bardhaman Ranked 8th in Higher Secondary) ৷ বাবার সঙ্গে ক্ষেতে কাজ করে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ সেই প্রিয়াঙ্কা এ বার উচ্চমাধ্যমিকে 491 নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছেন ৷ তাঁর স্বপ্ন বড় হয়ে মানুষের সেবা করা ৷ তাই ডব্লিউবিসিএস অফিসার হতে চান প্রিয়াঙ্কা ৷

Priyanka Adak from Purbe Bardhaman Ranked 8th in Higher Secondary
Priyanka Adak from Purbe Bardhaman Ranked 8th in Higher Secondary

পূর্ব বর্ধমান, 18 জুন: উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম স্থানাধিকারীদের মধ্যে একজন পূর্ব বর্ধমানের প্রিয়াঙ্কা আদক ৷ এই টুকুই তাঁর পরিচয় নয় ৷ বর্ধমানের দামোদরের চরের ছোট্ট গ্রাম বংপুর চাষিমানার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা খেত মজুরি ও দীন মজুরি করে সংসার চালানো বিমল আদকের মেয়ে (Priyanka Adak from Purbe Bardhaman Ranked 8th in Higher Secondary) ৷ কোনও দিনই যাঁর সামর্থ হয়নি মেয়েকে, নতুন বই কিনে দেওয়া বা ভাল পোশাক অথবা বাহ্যিক স্বাচ্ছন্দে ভরা জীবনযাপনের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ৷ আর প্রিয়াঙ্কা বাবা-মাকে চাষের কাজে সাহায্য করে নিজের সময় বের করে পড়াশোনা করেছেন ৷ আর তাঁর এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা আদক ৷ স্বপ্ন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক হওয়া ৷ আর তাঁর এই স্বপ্নকে সফল করতে সবসময় পাশে থাকার কথা জানাল পরিবারের সকলে ৷

ছোটবেলায় স্কুলে বন্ধুদের বাবার বাইকে বা চারচাকা করে স্কুলে যেতে দেখে প্রিয়াঙ্কা তাঁর বাবাকে প্রশ্ন করতেন, তাঁদের গাড়ি কেন নেই ? এই প্রশ্নের জবাবে, ছোট্ট প্রিয়াঙ্কাকে বিদ্যাসাগরের গল্প শোনাতেন পেশায় কৃষক বিমল আদক ৷ বলতেন, বিদ্যাসাগরেরও কিছু ছিল না ৷ ছিল শুধু জ্ঞান অর্জনের প্রতিভা ৷ তাই দিয়েই নিজের পরিচয় তৈরি করেছিলেন ৷ তাই ছোটবেলা থেকে বিদ্যাসাগরই ছিলেন প্রিয়াঙ্কা আদকের অনুপ্রেরণা ৷ সেই অনুপ্রেরণাকে হাতিয়ার করেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন বিদ্যার্থীভবন উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা ৷

মাধ্যমিকে ভাল ফল করার আশায় ছিলেন প্রিয়াঙ্কা ৷ কিন্তু, অনেক চেষ্টা করেও আশানুরূপ ফল করতে পারেননি ৷ তবে, সেখানেও ভেঙে পড়েননি, বিদ্যাসাগরের জীবন সংগ্রামকে অনুপ্রেরণা করে উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়েছেন ৷ ফলও পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ৷ 491 নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় নাম তুলেছেন তিনি ৷ তবে, তাঁর এই পথ খুব একটা সহজ ছিল না ৷ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না-হওয়ায়, ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে বাবা-মা’র সঙ্গে মাঠে যেতেন চাষের কাজে সাহায্য করতে ৷ সেখান থেকে স্কুলে যেতেন ৷ স্কুল থেকে ফিরে ফের মাঠে ৷ এর পর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে নিজের পড়াশোনার জন্য সময় বের করতেন প্রিয়াঙ্কা ৷

বিদ্যাসাগরের জীবন সংগ্রামই অনুপ্রেরণা!

আরও পড়ুন: Sundarbans Students in HS Merit List: উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় সুন্দরবন এলাকার 13 জন পড়ুয়া

অর্থের অভাবে বই কিনে পড়ার ক্ষমতাও ছিল না ৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁকে সাহায্য করতেন ৷ তাঁরাই মেধাবি প্রিয়াঙ্কাকে অতিরিক্ত সময় দিয়ে পড়াশোনা দেখিয়ে দিতেন ৷ তাই উচ্চমাধ্যমিকের এই সাফল্যে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদানের কথাও সমানভাবে জানালেন প্রিয়াঙ্কা ৷ তাঁর স্বপ্ন বড় হয়ে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক হওয়া ৷ আর এই স্বপ্নের পিছনে তাঁর অনুপ্রেরণা স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এবং তাঁর কাজ ৷ তাঁকে দেখেই মানুষের জন্য কাজ করতে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন প্রিয়াঙ্কা ৷ আর মেয়ের এই স্বপ্নকে সত্যি করতে সবসময় প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে থাকার কথা জানালেন বিমল আদক ৷

পূর্ব বর্ধমান, 18 জুন: উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম স্থানাধিকারীদের মধ্যে একজন পূর্ব বর্ধমানের প্রিয়াঙ্কা আদক ৷ এই টুকুই তাঁর পরিচয় নয় ৷ বর্ধমানের দামোদরের চরের ছোট্ট গ্রাম বংপুর চাষিমানার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা খেত মজুরি ও দীন মজুরি করে সংসার চালানো বিমল আদকের মেয়ে (Priyanka Adak from Purbe Bardhaman Ranked 8th in Higher Secondary) ৷ কোনও দিনই যাঁর সামর্থ হয়নি মেয়েকে, নতুন বই কিনে দেওয়া বা ভাল পোশাক অথবা বাহ্যিক স্বাচ্ছন্দে ভরা জীবনযাপনের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ৷ আর প্রিয়াঙ্কা বাবা-মাকে চাষের কাজে সাহায্য করে নিজের সময় বের করে পড়াশোনা করেছেন ৷ আর তাঁর এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা আদক ৷ স্বপ্ন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক হওয়া ৷ আর তাঁর এই স্বপ্নকে সফল করতে সবসময় পাশে থাকার কথা জানাল পরিবারের সকলে ৷

ছোটবেলায় স্কুলে বন্ধুদের বাবার বাইকে বা চারচাকা করে স্কুলে যেতে দেখে প্রিয়াঙ্কা তাঁর বাবাকে প্রশ্ন করতেন, তাঁদের গাড়ি কেন নেই ? এই প্রশ্নের জবাবে, ছোট্ট প্রিয়াঙ্কাকে বিদ্যাসাগরের গল্প শোনাতেন পেশায় কৃষক বিমল আদক ৷ বলতেন, বিদ্যাসাগরেরও কিছু ছিল না ৷ ছিল শুধু জ্ঞান অর্জনের প্রতিভা ৷ তাই দিয়েই নিজের পরিচয় তৈরি করেছিলেন ৷ তাই ছোটবেলা থেকে বিদ্যাসাগরই ছিলেন প্রিয়াঙ্কা আদকের অনুপ্রেরণা ৷ সেই অনুপ্রেরণাকে হাতিয়ার করেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন বিদ্যার্থীভবন উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা ৷

মাধ্যমিকে ভাল ফল করার আশায় ছিলেন প্রিয়াঙ্কা ৷ কিন্তু, অনেক চেষ্টা করেও আশানুরূপ ফল করতে পারেননি ৷ তবে, সেখানেও ভেঙে পড়েননি, বিদ্যাসাগরের জীবন সংগ্রামকে অনুপ্রেরণা করে উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়েছেন ৷ ফলও পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ৷ 491 নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় নাম তুলেছেন তিনি ৷ তবে, তাঁর এই পথ খুব একটা সহজ ছিল না ৷ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না-হওয়ায়, ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে বাবা-মা’র সঙ্গে মাঠে যেতেন চাষের কাজে সাহায্য করতে ৷ সেখান থেকে স্কুলে যেতেন ৷ স্কুল থেকে ফিরে ফের মাঠে ৷ এর পর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে নিজের পড়াশোনার জন্য সময় বের করতেন প্রিয়াঙ্কা ৷

বিদ্যাসাগরের জীবন সংগ্রামই অনুপ্রেরণা!

আরও পড়ুন: Sundarbans Students in HS Merit List: উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় সুন্দরবন এলাকার 13 জন পড়ুয়া

অর্থের অভাবে বই কিনে পড়ার ক্ষমতাও ছিল না ৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁকে সাহায্য করতেন ৷ তাঁরাই মেধাবি প্রিয়াঙ্কাকে অতিরিক্ত সময় দিয়ে পড়াশোনা দেখিয়ে দিতেন ৷ তাই উচ্চমাধ্যমিকের এই সাফল্যে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদানের কথাও সমানভাবে জানালেন প্রিয়াঙ্কা ৷ তাঁর স্বপ্ন বড় হয়ে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক হওয়া ৷ আর এই স্বপ্নের পিছনে তাঁর অনুপ্রেরণা স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এবং তাঁর কাজ ৷ তাঁকে দেখেই মানুষের জন্য কাজ করতে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন প্রিয়াঙ্কা ৷ আর মেয়ের এই স্বপ্নকে সত্যি করতে সবসময় প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে থাকার কথা জানালেন বিমল আদক ৷

Last Updated : Jun 18, 2022, 9:22 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.