বর্ধমান, 10 জানুয়ারি: সরকারি হাসপাতালের ওষুধ পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে ৷ শুধু তাই নয় সেই ওষুধ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বীরভূম, শিলিগুড়ি, কলকাতা-সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে (Sending Medicines From Government Hospitals to Private Nursinghomes) । এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ । সোমবার রাতে শহরের পঞ্জাবfপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটা আবাসন থেকে সমস্তরকমের ওষুধ-সহ ওষুধের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে । গ্রেফতার করা হয়েছে সৌরেন রায় নামে এক ব্যক্তিকে। এদিন তাঁকে আদালতে তোলা হলে, বিচারক অভিযুক্তকে দু'দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সৌরেন রায়ের খোসবাগান এলাকায় একটা ওষুধের দোকান ছিল । বছর পাঁচেক আগে ওই ব্যক্তি তার ওষুধের দোকান বিক্রি করে দেয় । কিন্তু তার গতিবিধি সুবিধার না-হওয়ায় তার উপর বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশ নজর রাখছিল ৷ তাঁর সম্বন্ধে সন্দেহজনক তথ্য হাতে আসে পুলিশের ৷ পূর্ব বর্ধমান পুলিশের পক্ষ থেকে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । সোমবার রাতে ড্রাগ কন্ট্রোলের দুই অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে সৌরেন রায়ের আবাসনে অভিযান চালায় পুলিশ । সেখান থেকে বেশ কিছু ওষুধ ও ওষুধের সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয় । অভিযুক্ত সৌরেন রায়কে গ্রেফতার করে ৷
আরও পড়ুন: মালদা মেডিক্যালে চালু ইমার্জেন্সি মেডিসিন ওয়ার্ড
পুলিশ সূত্রে খবর, যে সমস্ত ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই সব ওষুধে লেখা আছে 'নট ফর সেল'। ওই সব ওষুধ সরকারি হাসপাতালের জন্য পাঠানো হয়েছিল । সেই সকল ওষুধ ও ইনজেকশন মজুত করার পরে সেগুলি বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে সরবরাহ করা হত । শুধু তাই নয় জেলার বাইরেও বীরভূম, কলকাতা এমনকী উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি-সহ বেশ কিছু জেলাতেও সরবরাহ করা হত ওষুধগুলি ৷ এদিকে ওই সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করা ওষুধ ওই ব্যক্তির কাছে যেত তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । পাশাপাশি ভিন জেলার কেউ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, আছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।