ETV Bharat / state

Raju Jha Murder Case: অভিজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজুর ঘনিষ্ঠ বন্ধুর গতিবিধির হদিশ খুঁজছে পুলিশ - রাজু ঝা খুনের আপডেট

ছোটবেলার বন্ধুর গাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে রাজু ঝা খুনে যোগ পেয়েছে পুলিশ ৷ যে বন্ধুর সঙ্গে পরবর্তীকালে রাজুর সম্পর্ক প্রতিদ্বন্দ্বিতার হয়ে ওঠে ৷ তাই তার গাড়ির ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজু খুনে সেই বন্ধুর গতিবিধি নজরে রাখতে চাইছে পুলিশ ৷

Etv Bharat
রাজু ঝা মার্ডার কেস
author img

By

Published : Apr 20, 2023, 10:41 PM IST

বর্ধমান, 20 এপ্রিল: রাজু ঝা-য়ের ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন নারায়ণ খাড়কা । তিনিও কয়লা ব্যবসায়ী নামে রানিগঞ্জ দুর্গাপুরে পরিচিত । পরবর্তীকালে তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে ব্যবসায়িক সম্পর্ক । এরপর অবশ্য নারায়ণের সঙ্গে রাজুর সম্পর্কের অবনতি ঘটে । তাঁরা ব্যবসায় একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন । আর নারায়ণ খাড়কার গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল । ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ খুনের মোটিভ বোঝার চেষ্টা করছে ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অর্থাৎ 1 এপ্রিল রাজু ঝা-কে খুনের ঘটনার পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশের নজরে আসে তিনটে গাড়ি । একটা নীল ও অপর দুটি সাদা গাড়ি । এর মধ্যে একটা গাড়িকে ঝাড়খণ্ডের লোকেশনেও পাওয়া যায় । সেই সঙ্গে মেলে অভিজিতের ফোনের টাওয়ার লোকেশনও । মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পেরেছে রাজু ঝা খুনে সুপারি কিলারদের সঙ্গে অভিজিৎ মোবাইলে কথা বলেছিলেন । এর আগে অভিজিৎ জেলও খেটেছেন । ফলে জেলে থাকাকালীন তার সঙ্গে সুপারি কিলারদের যোগাযোগের মাধ্যম কেউ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

যদিও অভিজিতের দুর্গাপুরের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, একটা কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করত অভিজিৎ । ওই কোম্পানিতে চা দেওয়ার কাজ করতো রবি বেসরা । তাকেও পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে । এছাড়া তাহরুল নামে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে । অন্যদিকে অভিজিৎকে দুর্গাপুর থেকে ধরা হলেও দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ফাঁড়ি জানিয়েছে তাদের কাছে অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও ইনফরমেশন নেই । পুলিশ ফরওয়ার্ডিং রিপোর্টে কোথাও লেখা নেই তাকে কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন : অবশেষে রাজু ঝা খুনে গ্রেফতার এক, পাঠানো হল 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে

অভিজিৎ মণ্ডলের বর্ধমান আদালতের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপুর থেকে তিনজনকে ধরা হয়েছে ৷ রবি বেসরা, তাহারুল কাদরি ও অভিজিৎ মণ্ডলকে । এদের মধ্যে রবি ও তাহারুলকে শক্তিগড় থানায় আটকে রাখা হয়েছে । অভিজিৎকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন অংশে নিয়ে যাওয়া হবে । এছাড়া কলকাতা ও হুগলিতেও নিয়ে যাবে তদন্তকারীরা ।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের 1 তারিখে সন্ধে নাগাদ দুর্গাপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ে খুন হন বিখ্যাত কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝা । তাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গুলি করার পরে দুষ্কৃতীরা কলকাতার দিকের রাস্তায় পালিয়ে যায় । পরে জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে শক্তিগড় স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় নীল গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা । ঘটনার পরেই জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে 12 সদস্যের সিট গঠন করা হয় । তদন্ত করতে তাঁরা ঝাড়খণ্ডেও যায় । এখনও পর্যন্ত খুনের ঘটনায় দুর্গাপুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

আরও পড়ুন : রাজু ঝা'র মাফিয়া বন্ধুর অফিস সিল করল সিট, কে এই নরেন্দ্র খাড়কা ?

বর্ধমান, 20 এপ্রিল: রাজু ঝা-য়ের ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন নারায়ণ খাড়কা । তিনিও কয়লা ব্যবসায়ী নামে রানিগঞ্জ দুর্গাপুরে পরিচিত । পরবর্তীকালে তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে ব্যবসায়িক সম্পর্ক । এরপর অবশ্য নারায়ণের সঙ্গে রাজুর সম্পর্কের অবনতি ঘটে । তাঁরা ব্যবসায় একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন । আর নারায়ণ খাড়কার গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল । ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ খুনের মোটিভ বোঝার চেষ্টা করছে ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অর্থাৎ 1 এপ্রিল রাজু ঝা-কে খুনের ঘটনার পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশের নজরে আসে তিনটে গাড়ি । একটা নীল ও অপর দুটি সাদা গাড়ি । এর মধ্যে একটা গাড়িকে ঝাড়খণ্ডের লোকেশনেও পাওয়া যায় । সেই সঙ্গে মেলে অভিজিতের ফোনের টাওয়ার লোকেশনও । মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পেরেছে রাজু ঝা খুনে সুপারি কিলারদের সঙ্গে অভিজিৎ মোবাইলে কথা বলেছিলেন । এর আগে অভিজিৎ জেলও খেটেছেন । ফলে জেলে থাকাকালীন তার সঙ্গে সুপারি কিলারদের যোগাযোগের মাধ্যম কেউ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

যদিও অভিজিতের দুর্গাপুরের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, একটা কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করত অভিজিৎ । ওই কোম্পানিতে চা দেওয়ার কাজ করতো রবি বেসরা । তাকেও পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে । এছাড়া তাহরুল নামে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে । অন্যদিকে অভিজিৎকে দুর্গাপুর থেকে ধরা হলেও দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ফাঁড়ি জানিয়েছে তাদের কাছে অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও ইনফরমেশন নেই । পুলিশ ফরওয়ার্ডিং রিপোর্টে কোথাও লেখা নেই তাকে কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন : অবশেষে রাজু ঝা খুনে গ্রেফতার এক, পাঠানো হল 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে

অভিজিৎ মণ্ডলের বর্ধমান আদালতের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপুর থেকে তিনজনকে ধরা হয়েছে ৷ রবি বেসরা, তাহারুল কাদরি ও অভিজিৎ মণ্ডলকে । এদের মধ্যে রবি ও তাহারুলকে শক্তিগড় থানায় আটকে রাখা হয়েছে । অভিজিৎকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন অংশে নিয়ে যাওয়া হবে । এছাড়া কলকাতা ও হুগলিতেও নিয়ে যাবে তদন্তকারীরা ।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের 1 তারিখে সন্ধে নাগাদ দুর্গাপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ে খুন হন বিখ্যাত কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝা । তাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গুলি করার পরে দুষ্কৃতীরা কলকাতার দিকের রাস্তায় পালিয়ে যায় । পরে জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে শক্তিগড় স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় নীল গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা । ঘটনার পরেই জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে 12 সদস্যের সিট গঠন করা হয় । তদন্ত করতে তাঁরা ঝাড়খণ্ডেও যায় । এখনও পর্যন্ত খুনের ঘটনায় দুর্গাপুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

আরও পড়ুন : রাজু ঝা'র মাফিয়া বন্ধুর অফিস সিল করল সিট, কে এই নরেন্দ্র খাড়কা ?

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.