মঙ্গলকোট, 17 জুলাই : মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা অসীম দাসের খুনের ঘটনায় তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি (CID) । ইতিমধ্যে সিআইডির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল মঙ্গলকোটের সিউর গ্রামের ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়েছে । এছাড়া বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান গ্রামীণ)-এর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে । পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে । কিন্তু কেন খুন হতে হল তৃণমূল নেতাকে ?
গত সোমবার সন্ধে নাগাদ বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন মঙ্গলকোট ব্লকের লাখুড়িয়া তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস । পথে তাঁকে রাস্তায় কেউ বা কারা গুলি করে খুন করে । পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রাস্তার একপাশে অসীম দাসের মোটর বাইক দাঁড় করানো । পাশেই তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে আছে । এর পরেই মঙ্গলকোটের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী দাবি করেন, এই খুনে বিজেপির দুষ্কৃতীরা জড়িত । পাল্টা বিজেপি দাবি করে, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে । এর পরেই খুনের কিনারা করতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে পুলিশ ।
তদন্তে নেমে পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে । দু'জনেই তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ মনে করছে, লাখুড়িয়া অঞ্চল এলাকার অবৈধ বালিঘাট সংক্রান্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই খুন হতে পারে । অসীম দাস ছিলেন লাখুড়িয়া এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি । নির্বাচনের আগে তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ । তবে যেহেতু ফাঁকা জায়গায় খুনের ঘটনা ঘটেছে, ঘটনার সময় অসীম দাসের বাইক একপাশে দাঁড় করানো ছিল, তা দেখে পুলিশ মনে করছে, এমন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে অসীম দাস বাইক থামিয়ে কথা বলেছিলেন, যিনি অসীমের পরিচিত । বাড়ির লোকজনেরাও সন্দেহ করছেন, খুনের ঘটনার পিছনে পরিচিত কেউ আছে ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনে গ্রেফতার সহ-সভাপতি
এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, একদিকে খুনিদের ধরার জন্য পুলিশ বিশেষ দল গঠন করল । আবার সিআইডিকেও দায়িত্ব দেওয়া হল । এর পিছনে কি বিশেষ কারণ আছে ?