বর্ধমান, 7 এপ্রিল: লকডাউনের সুযোগ নিয়ে ফসলের সার, ওষুধের কালোবাজারি হচ্ছে, অভিযোগ জেলার কৃষকদের। তাঁদের অভিযোগ, এমনিতেই লকডাউনের জেরে তাঁরা উৎপন্ন ফসলের দাম পাচ্ছেন না। এরইমধ্যে সার, ওষুধ ইত্যাদির কালোবাজারি শুরু করেছে একশ্রেণির দোকানদারেরা । বিষয়টি যেন প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে দেখে, সে বিষয়ে আবেদন জানান কৃষকরা।
ইতিমধ্যেই জেলার কৃষিজমিগুলিতে গ্রীষ্মের সবজি পটল, পুঁইশাক, লাউ-কুমড়োর চাষ শুরু করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। এদিকে দিনে দিনে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে লকডাউনে কীটনাশক ও সারের দোকান প্রথম দিকে ছিল বন্ধ। পরে সকালের দিকে দু'ঘণ্টা এ ধরনের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু এই সুযোগে দোকানদারেরা বাড়তি দাম চেয়ে কালোবাজারি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ চাষিদের। তাঁদের বক্তব্য, এমনিতেই লকডাউনের জেরে তাঁরা উৎপন্ন ফসলের দাম পাচ্ছেন না। এরপর যদি কীটনাশক, ওষুধ, সারের জন্য বাড়তি দাম দিতে হয় তবে তাঁরা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার এক কৃষক সন্তু সর বলেন, "আগে কীটনাশক ইত্যাদির দোকান বন্ধ ছিল। এখন সকালের দিকে দু'ঘন্টার জন্য খুলছে। কিন্তু যেভাবে দোকানদাররা ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাতে করে চাষের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। এই পরিস্থিতি সামাল দিক প্রশাসন।"
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, সার ও কীটনাশকের দাম যাতে না বাড়ে তার জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে কোনও কৃষক অভিযোগ জানায়নি।