বর্ধমান, 12 এপ্রিল : শুক্রবার রাত থেকে গতরাত পর্যন্ত বর্ধমান মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে একজনকে ও কালনা মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে একজনকে ভরতি করা হয় । তাছাড়া এই দু'দিনে কোরোনা হাসপাতালে আর কাউকে ভরতি করতে হয়নি । ফলে, কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগে ।
এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ নেই বর্ধমানে । প্রতিদিনই বর্ধমানের নানা এলাকা স্যানিটাইজ় করার কাজ চলছে জেলা প্রশাসনের তরফে । সরকারি ভবন, দপ্তর, হাসপাতাল এলাকাগুলিতে রোজই চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ । এছাড়াও মানুষজনকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে বেশ কিছু নিয়ম মানার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । অতি প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি ছাড়া সকলকেই বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । যা মেনেও চলছেন অনেকে ।
দেশে কোরোনা থাবা বসানোর শুরু থেকেই তৎপর ছিল বর্ধমান জেলা প্রশাসন । প্রশাসনের তরফে প্রতিদিনই বিদেশে থাকা এবং ভিন রাজ্যে থাকা মানুষদের একটা তালিকা মেইনটেন করা হয় । যাঁরা বিদেশ থেকে ফিরেছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করে সকলকে হোম কোয়ারানটাইনে পাঠানো হয়েছে । পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে আসা প্রায় সকলকেই একইভাবে 14 দিনের হোম কোয়ারানটাইনে রাখা হয়েছে । প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অনেকে আবার 28 দিনের হোম কোয়ারানটাইনের সময়সীমাও পার করেছেন । তবুও তাঁদের উপর নজর রেখেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
এখনও পর্যন্ত জেলা কোরোনা হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে মোট সাতজন ভরতি হয়েছিলেন । তাঁদের প্রত্যেকেরই কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । এর পাশাপাশি গত কয়েকদিনে কোরোনা হাসপাতালে কেউ ভরতি না হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তিতে স্বাস্থ্যবিভাগ ।