ETV Bharat / state

মেয়েকে ফিরে পেয়ে আনন্দে কাঁদলেন রিমা - শিশু চুরি

অনাময় হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছিল শিশু । তাকে আজ মায়ের হাতে তুলে দিল বর্ধমান থানার পুলিশ । সন্তানকে ফিরে পেয়ে আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা ।

Baby missing
শিশুকে মা-বাবার হাতে তুলে দিচ্ছে পুলিশ
author img

By

Published : Jan 20, 2020, 10:10 PM IST

Updated : Jan 20, 2020, 11:34 PM IST

বর্ধমান, 20 জানুয়ারি : কোলে তিনদিনের মেয়ে । মুখে হাসি । আবার, পরক্ষণেই চোখে জল । কাঁদতে কাঁদতে জানালেন, পুলিশের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতার কথা । বললেন, "আমি সারাজীবন পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব ।"

রায়না থানার সিপ্টা এলাকার বাসিন্দা রিমা মালিক । অভাবের সংসার । সরকারি অনুদানের টাকা পেতে গিয়ে শিশুচোরের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছিলেন । গতকাল সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে নিয়ে চলে গেছিলেন অনাময় হাসপাতালে । পরে সেখান থেকেই চুরি হয়ে যায় রিমার তিন দিনের কন্যাসন্তান ।

মেয়েকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মা

আসলে কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রিমার সঙ্গে রিয়া ব্যানার্জি নামে এক মহিলার আলাপ হয় । সে রিমাকে জানায়, কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে সরকারের তরফে 6 হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু সেই টাকা নিতে যেতে হবে অনাময় হাসপাতালে । রিয়ার কথায় বিশ্বাস করে তিনদিনের মেয়েকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে অনাময় হাসপাতালে যান রিমা । সেখানে বিভিন্ন কাগজ দেখার নাম করে রিমার হাত থেকে শিশুটিকে নেয় রিয়া । জানায়, শিশুটিকে নিয়ে রিমার স্বামীর কাছে যাচ্ছে রিয়া । পরে অনেকক্ষণ রিয়াকে দেখতে না পেয়ে স্বামীকে ফোন করেন রিমা । রিমাকে তাঁর স্বামী জানান, মেয়ে তাঁর কাছে নেই । এরপরই তাঁরা পুরো বিষয়টি অনাময় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানান । তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : টাকার প্রলোভন দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে চুরি শিশু

গতরাতে কাঁকসা থানায় এ জ়োন ফাঁড়ি থেকে ফোন যায় । বলা হয়, দক্ষিণবঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় পরিবহনের একটি বাসে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে একটি সন্দেহজনক মহিলাকে দেখা গেছে । তার কাছে একটি শিশুকন্যাও রয়েছে । কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে ওই মহিলার থেকে কিছু কাগজপত্র দেখতে চায় । মহিলা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কাগজ দেখালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয় । পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলাও অন্তঃসত্ত্বা ছিল । কিন্তু তার সন্তান গর্ভেই মারা যায় । এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের । তারা আজ সকালে বেনাচিতি সত্যজিৎ পল্লিতে ওই মহিলার বাড়িতে যায় । সেখান থেকে ওই মহিলা ও তার স্বামীকে আটক করে । একইসঙ্গে শিশুটিকেও উদ্ধার করে নিয়ে আসে । পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম মধুমিতা রায় ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : অনাময় হাসপাতালে শিশু চুরির অভিযোগে দুর্গাপুরে আটক দম্পতি

কাঁকসা থানার পুলিশ পরে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে শিশুটিকে তুলে দেয় । তারপর বর্ধমান থানার পুলিশ শিশুটির মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে । বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশুটির কিছু পরীক্ষা করানো হয় । একইসঙ্গে হাসপাতালের সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শিশুটিকে রিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয় ।

নিজের সন্তানকে হাতে পেয়ে আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিয়া । কাঁদতে কাঁদতে পুলিশকে ধন্যবাদ জানান । বলেন, "আমি সারাজীবন পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব৷ "

বর্ধমান, 20 জানুয়ারি : কোলে তিনদিনের মেয়ে । মুখে হাসি । আবার, পরক্ষণেই চোখে জল । কাঁদতে কাঁদতে জানালেন, পুলিশের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতার কথা । বললেন, "আমি সারাজীবন পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব ।"

রায়না থানার সিপ্টা এলাকার বাসিন্দা রিমা মালিক । অভাবের সংসার । সরকারি অনুদানের টাকা পেতে গিয়ে শিশুচোরের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছিলেন । গতকাল সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে নিয়ে চলে গেছিলেন অনাময় হাসপাতালে । পরে সেখান থেকেই চুরি হয়ে যায় রিমার তিন দিনের কন্যাসন্তান ।

মেয়েকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মা

আসলে কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রিমার সঙ্গে রিয়া ব্যানার্জি নামে এক মহিলার আলাপ হয় । সে রিমাকে জানায়, কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে সরকারের তরফে 6 হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু সেই টাকা নিতে যেতে হবে অনাময় হাসপাতালে । রিয়ার কথায় বিশ্বাস করে তিনদিনের মেয়েকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে অনাময় হাসপাতালে যান রিমা । সেখানে বিভিন্ন কাগজ দেখার নাম করে রিমার হাত থেকে শিশুটিকে নেয় রিয়া । জানায়, শিশুটিকে নিয়ে রিমার স্বামীর কাছে যাচ্ছে রিয়া । পরে অনেকক্ষণ রিয়াকে দেখতে না পেয়ে স্বামীকে ফোন করেন রিমা । রিমাকে তাঁর স্বামী জানান, মেয়ে তাঁর কাছে নেই । এরপরই তাঁরা পুরো বিষয়টি অনাময় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানান । তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : টাকার প্রলোভন দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে চুরি শিশু

গতরাতে কাঁকসা থানায় এ জ়োন ফাঁড়ি থেকে ফোন যায় । বলা হয়, দক্ষিণবঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় পরিবহনের একটি বাসে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে একটি সন্দেহজনক মহিলাকে দেখা গেছে । তার কাছে একটি শিশুকন্যাও রয়েছে । কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে ওই মহিলার থেকে কিছু কাগজপত্র দেখতে চায় । মহিলা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কাগজ দেখালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয় । পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলাও অন্তঃসত্ত্বা ছিল । কিন্তু তার সন্তান গর্ভেই মারা যায় । এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের । তারা আজ সকালে বেনাচিতি সত্যজিৎ পল্লিতে ওই মহিলার বাড়িতে যায় । সেখান থেকে ওই মহিলা ও তার স্বামীকে আটক করে । একইসঙ্গে শিশুটিকেও উদ্ধার করে নিয়ে আসে । পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম মধুমিতা রায় ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : অনাময় হাসপাতালে শিশু চুরির অভিযোগে দুর্গাপুরে আটক দম্পতি

কাঁকসা থানার পুলিশ পরে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে শিশুটিকে তুলে দেয় । তারপর বর্ধমান থানার পুলিশ শিশুটির মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে । বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশুটির কিছু পরীক্ষা করানো হয় । একইসঙ্গে হাসপাতালের সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শিশুটিকে রিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয় ।

নিজের সন্তানকে হাতে পেয়ে আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিয়া । কাঁদতে কাঁদতে পুলিশকে ধন্যবাদ জানান । বলেন, "আমি সারাজীবন পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব৷ "

Intro:শিশু ফিরে পেয়ে আনন্দে কাঁদলেন মা

সন্তোষ দাস, বর্ধমান

শিশু ফিরে পেয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ দিল শিশুর মা। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন আমি সারাজীবন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। রিমা মালিক নামে ওই মহিলা জানান, ' গতকাল পিংকি ব্যানার্জি নামে পরিচয় দিয়েছিলেন ওই মহিলা। তিনি আমাদের বলেন যেতেতু তার কন্যা সন্তান হয়েছে তাই সরকার তাকে ছয় হাজার টাকা দেবে।সেই টাকা নেওয়ার জন্য অনাময় হাসপাতালে যেতে হবে। একটা টোটো ভাড়া করে আমার স্বামী আমি আর ওই মহিলা অনাময় হাসপাতালে যাই। সেখানে আমার স্বামীকে দোতলায় বসে বলে আমার কাছ থেকে শিশুর রক্তপরীক্ষা হবে বলে শিশুটিকে চেয়ে নেয়। তারপরে তাকে আর দেখা যায়নি। এরপরে আমি পুলিশকে জানাই।

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই মহিলার নাম মধুমিতা রায়। ওই মহিলা শিশু নিয়ে সন্ধেবেলা তেলিপুকুর এলাকায় চলে আসেন। সেখান থেকে বাস ধরে দুর্গাপুরে চলে যান। এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাঁকসার টোল প্লাজার কাছে তাকে আটক করে পুলিশ।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ অমিতাভ সাহা বলেন, পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে অনেক বড়ো কাজ করেছে। আমাদের চিন্তা ছিল যেতেতু তিন দিনের শিশু তাই অসুস্থ হয়ে না পড়ে। শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিতসার জন্য আপাতত এদিন শিশুটিকে এস এন সি ইউতে ভরতি করা হয়েছে।Body:শিশু ফিরে পেয়ে আনন্দে কাঁদলেন মা Conclusion:শিশু ফিরে পেয়ে আনন্দে কাঁদলেন মা
Last Updated : Jan 20, 2020, 11:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.