বর্ধমান, 3 জুলাই : অন্য মানুষের হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন স্ত্রী ৷ সম্ভবত সেই কারণেই সেই পরপুরুষকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিল স্বামী ৷ ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমান থানা এলাকায় ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম প্রদীপ মাঝি ৷ বয়স 22 বছর ৷ বৃহস্পতিবার তাঁর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় ৷ তার 24 ঘণ্টার মধ্যেই হিরু মাঝি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ প্রাথমিক জেরায় পুলিশের অনুমান, হিরুই খুন করেছেন প্রদীপকে ৷ শনিবার হিরুকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বর্ধমান জেলা আদালত ৷
আরও পড়ুন : স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা, খুন স্বামী সহ দুই শিশুপুত্র
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত প্রদীপ মাঝি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন ৷ পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে কেউ তাঁকে ডেকে নিয়ে যান ৷ কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেননি প্রদীপ ৷ এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ৷ বর্ধমান শহরের সরাইটিকর দিঘিরপাল এলাকা থেকে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তদন্তে নামে বর্ধমান থানা ৷
আরও পড়ুন : নিউটাউনে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, খুন নাকি আত্মহত্যা ?
প্রদীপের গলার ক্ষত দেখে পুলিশের মনে হয়েছিল, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় জানিয়েছেন, তদন্তে নেমেই হিরু মাঝি নামে এক যুবককে আটক করা হয় ৷ তাঁর বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷ পুলিশের অনুমান, এই হিরুই খুন করেছে প্রদীপকে ৷ খুনের কারণ, ত্রিকোণ প্রেম ৷ এরপরই গ্রেফতার করা হয় হিরুকে ৷
আরও পড়ুন : পাগল সেজেও হল না শেষরক্ষা, ধরা পড়ল জোড়া খুনে অভিযুক্ত
তদন্তে জানা গিয়েছে, হিরুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বনিবনা ছিল না ৷ কয়েক মাস আগেই স্বামীর ঘর ছাড়েন ওই মহিলা ৷ বদলে সংসার পাতেন প্রদীপের সঙ্গে ৷ পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি হিরু ৷ সম্ভবত, সেই কারণেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রদীপকে খুন করে সে ৷ তবে পুরো ঘটনাক্রম এখনও পুলিশের অজানা ৷ হিরুর সঙ্গে এই খুনে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সেনিজেই প্রদীপের গলা কেটেছে, নাকি অন্য কাউকে সুপারি দিয়েছে, সেসবও এখনও জানা বাকি ৷ পুলিশের আশা, হিরুকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সমস্ত তথ্য সামনে চলে আসবে ৷