বর্ধমান, 26 মে: আমফানের তাণ্ডবের জেরে রাজ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । জানালেন এ রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার আমফানে চাষের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী । বর্ধমানের সার্কিট হাউসে এদিন চার জেলার কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৈঠক হয় । দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূমের কৃষি আধিকারিকরা এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।
এবছর জেলায় 1 লাখ 75 হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে । আমফানের পর সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও মাঠে ভরা জলে ভাসছে পাকা বোরো ধান । জেলার ভাতার, আউশগ্রাম, গলসি, রায়না, খণ্ডঘোষ জামালপুর সহ কমবেশি এই চিত্র সর্বত্রই । পূর্ব বর্ধমান জেলার 1440 বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এর প্রভাব পড়েছে । জেলার 23টি ব্লকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ফসলে 30 হাজার হেক্টর ধান ঝড় বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে । শাক সবজির 5 হাজার হেক্টর জমি ক্ষতি হয়েছে । পাশাপাশি জেলায় তিল চাষের 12340 হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । আম চাষে ক্ষতি হয়েছে জেলায় 230 হেক্টর জমির । ঝড়ের পর পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছিলেন, 'গোটা জেলায় প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ 300 কোটি টাকার মতো ।" কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কৃষিতে চার জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে । এখনও ক্ষয়ক্ষতির পুরো রিপোর্ট আসেনি । সমস্ত রিপোর্ট তৈরি হলে মুখ্যমন্ত্রী কাছে পাঠানো হবে । তবে পূর্ব বর্ধমান সহ চার জেলায় ধান-সবজিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপুল ক্ষতি হয়েছে ।"
এদিনের বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার ও জেলাশাসক বিজয় ভারতী । ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সহকারি সভাধিপতি দেবু টুডু ও রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । স্বপন দেবনাথ বলেন, "ঝড়ে চাষিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ চাষিদের পাশে সরকার ছিল, থাকবে ৷ যাদের ফসল বিমা নেই তাদের কীভাবে সাহায্য করা যায় তার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ৷"