কেতুগ্রাম, 7 জুন : রেণুর শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ তাদের আদালতে তোলা হলে 6 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন কাটোয়া মহকুমা আদালতের বিচারক ৷ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাসিন্দা শেখ সিরাজ এবং তাঁর স্ত্রী মেহেরনিকা বিবিকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয় (Husband cuts Wife Wrist Update) ৷
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রেণু খাতুন নামে ওই মহিলার ছোট থেকেই জীবনের স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়া। নার্সিং প্রশিক্ষণ নিয়ে দুর্গাপুরের একটা বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চাকরি করতেন। কয়েকদিন আগে তিনি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করায় সরকারি হাসপাতালের নার্স নিয়োগের তালিকায় তাঁর নাম ওঠে। এরপরই তাঁর স্বামী শের মহম্মদ রেণুর সঙ্গে অশান্তি শুরু করে। শের মহম্মদের দাবি ছিল, কোনওভাবেই যেন তার স্ত্রী রেণু নার্স পদে চাকরিতে যোগ না দেয়। কিন্তু রেণু নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার ভাবনা থেকে সরে আসেননি। এরপরই তাঁর স্বামী রেণুর হাত কেটে বাদ দিয়ে দেয়।
এদিন রেণুর শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। গ্রেফতারের সময় রেণুর শ্বশুরের দাবি, তারা পাশের ঘরে থাকা সত্ত্বেও কোনও আওয়াজ শুনতে পায়নি ৷ কারণ উল্লেখ করে বলেছে ফ্যান চলছিল তাই টের পায়নি ৷ কেতুগ্রামের চিনিসপুরের এই বাসিন্দা শেখ সিরাজ এবং তাঁর স্ত্রী মেহেরনিকা বিবিকে পুলিশ নিজেদের হেপাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে তাদের দু'জনকে 6 দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখা হবে ৷
আরও পড়ুন : স্ত্রী পেয়েছেন সরকারি চাকরি, হীনমন্যতায় স্ত্রীর হাত কেটে দিল স্বামী
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার কেতুগ্রাম 1 নম্বর ব্লকের চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা রেণু খাতুনের হাত কবজি থেকে কেটে নেয় তাঁর স্বামী। পুলিশ জানতে পেরেছে রেণু খাতুন যখন ঘুমাচ্ছিলেন সেই সময় তাঁর স্বামী দু'জন বন্ধুকে নিয়ে এসে বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে। এরপর হাতুড়ি দিয়ে তাঁর ডান হাত থেঁতলে, টিন কাটার কাঁচি দিয়ে ওই হাতের কব্জি কাটা হয় বলে অভিযোগ । এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় রেণুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ তারপর থেকেই শের মহম্মদ পলাতক।