ETV Bharat / state

দোকান খুললেও মাছি তাড়ানোর উপক্রম স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের

"সংসার চালানো দায় হয়ে গিয়েছে ৷ জানি না কতদিন এই লাইনে টিকে থাকতে পারব ৷ কোনওরকমে তো সংসার ধর্ম পালন করতে হবে ৷ বাড়িতে বউ-ছেলে আছে, বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন, তাঁদের তো বাঁচাতে হবে ৷" বলছেন স্বর্ণশিল্পীরা ৷

jewellery
jewellery
author img

By

Published : Jun 26, 2020, 12:26 AM IST

Updated : Jul 1, 2020, 4:36 AM IST

বর্ধমান, 25 জুন : একেই ক্রমাগত বাড়ছে সোনার দাম ৷ তার উপর কোরোনা সংক্রমণ ও লকডাউন ৷ ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি ৷ বাদ পড়েনি বংলার স্বর্ণশিল্প ৷ তিন মাসের উপর বন্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দোকান ৷ কোরোনা ভয় কাটিয়ে যাও বা গুটি কয়েক দোকান খুলেছে, তাঁদের মাছি তাড়ানোর উপক্রম ৷ দোকান চত্বরে টিকি নেই গ্রাহকদের ৷ এই পরিস্থিতিতে কপালে চিন্তার ভাজ স্বর্ণ কারিগর থেকে ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীদের ৷

বর্ধমান শহরের বড়বাজার এলাকায় রয়েছে কয়েকশো সোনার দোকান । বিয়ের মরশুম ছাড়াও সারা বছর সোনাপট্টি পাড়ায় মানুষের ভিড় লেগেই থাকে । তবে বেশিরভাগ ক্রেতাই আসেন গ্রাম থেকে । কিন্তু গত তিন মাসে বদলে গেছে সেই চিত্র ৷ আনলক 1-এ অন্যান্য দোকানের পাশাপাশি খুলতে শুরু করেছে সোনার দোকানও । কিন্তু বাস চলাচল সেভাবে শুরু না হওয়ায় শহরের বাইরে থেকে যে সমস্ত ক্রেতারা সোনার দোকানে আসতেন আজ তারা আসতে পারছেন না । সেই সঙ্গে এক ধাক্কায় সোনার দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি 10 গ্রাম পিছু 50 হাজার টাকা । একেই দেখা নেই খোদ্দেরের, তার উপর প্রতি মাসে বইতে হচ্ছে দোকান খোলার বাড়তি খরচ । হাতে কাজ না থাকায় স্বর্ণ কারিগরদের কাজ দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা । যার জেরে সময়ে হচ্ছে না বেতন । বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করেছে কারিগরদের অনেকেই ৷

দোকান খুললেও মাছি তাড়ানোর উপক্রম স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের

স্বর্ণশিল্পী আবির সাঁতরা বলেন, "একেই রাজ্যে স্বর্ণ শিল্পের অবস্থা খারাপ ৷ তার উপর কোরোনা সংক্রমণের জেরে দিল্লি, মুম্বইয়ে যে সমস্ত স্বর্ণ শিল্পীরা কাজ করতেন তাঁরা রাজ্যে ফিরে এসেছেন ৷ তাঁরাও কাজ খুঁজছেন ৷ এমনিতেই যেখানে একটা সময় দোকানে চারজন কারিগর কাজ করত সেখানে একজন কারিগর কাজ করছে ৷ যাঁরা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের অনেকেই এখন পেটের দায়ে টোটো চালাচ্ছে ৷ কেউ মিষ্টির দোকানে কাজ করছে ৷" আর এক শিল্পী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, "আমরা খুব অসুবিধার মধ্যে আছি ৷ কী করে সংসার চালাব? বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন তাঁদের কী করে দেখভাল করব, এই সব নিয়ে মাথায় চিন্তা ঘুরছে ৷" 22-25 বছর ধরে স্বর্ণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পেশায় কারিগর গোপাল কবিরাজ বলেন, "সংসার চালানো দায় হয়ে গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে কাজ নেই, মজুরি নেই ৷ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি ৷ "

পূর্ব বর্ধমান শহরের স্বর্ণশিল্পী ওয়েলফেয়ার সমিতির কোষাধ্যক্ষ, পিনাকী নিয়োগী বলেন, "বর্ধমান জেলায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক কারিগর কাজের জন্য আসেন ৷ কিন্তু হাতে কাজ না থাকলে ব্যবসায়ীরা তাদের কী করে কাজদেবে ৷ আগামীদিনে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি আসছে তা আমরা ভালো করেই বুঝতে পারছি ৷"

বর্ধমান, 25 জুন : একেই ক্রমাগত বাড়ছে সোনার দাম ৷ তার উপর কোরোনা সংক্রমণ ও লকডাউন ৷ ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি ৷ বাদ পড়েনি বংলার স্বর্ণশিল্প ৷ তিন মাসের উপর বন্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দোকান ৷ কোরোনা ভয় কাটিয়ে যাও বা গুটি কয়েক দোকান খুলেছে, তাঁদের মাছি তাড়ানোর উপক্রম ৷ দোকান চত্বরে টিকি নেই গ্রাহকদের ৷ এই পরিস্থিতিতে কপালে চিন্তার ভাজ স্বর্ণ কারিগর থেকে ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীদের ৷

বর্ধমান শহরের বড়বাজার এলাকায় রয়েছে কয়েকশো সোনার দোকান । বিয়ের মরশুম ছাড়াও সারা বছর সোনাপট্টি পাড়ায় মানুষের ভিড় লেগেই থাকে । তবে বেশিরভাগ ক্রেতাই আসেন গ্রাম থেকে । কিন্তু গত তিন মাসে বদলে গেছে সেই চিত্র ৷ আনলক 1-এ অন্যান্য দোকানের পাশাপাশি খুলতে শুরু করেছে সোনার দোকানও । কিন্তু বাস চলাচল সেভাবে শুরু না হওয়ায় শহরের বাইরে থেকে যে সমস্ত ক্রেতারা সোনার দোকানে আসতেন আজ তারা আসতে পারছেন না । সেই সঙ্গে এক ধাক্কায় সোনার দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি 10 গ্রাম পিছু 50 হাজার টাকা । একেই দেখা নেই খোদ্দেরের, তার উপর প্রতি মাসে বইতে হচ্ছে দোকান খোলার বাড়তি খরচ । হাতে কাজ না থাকায় স্বর্ণ কারিগরদের কাজ দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা । যার জেরে সময়ে হচ্ছে না বেতন । বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করেছে কারিগরদের অনেকেই ৷

দোকান খুললেও মাছি তাড়ানোর উপক্রম স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের

স্বর্ণশিল্পী আবির সাঁতরা বলেন, "একেই রাজ্যে স্বর্ণ শিল্পের অবস্থা খারাপ ৷ তার উপর কোরোনা সংক্রমণের জেরে দিল্লি, মুম্বইয়ে যে সমস্ত স্বর্ণ শিল্পীরা কাজ করতেন তাঁরা রাজ্যে ফিরে এসেছেন ৷ তাঁরাও কাজ খুঁজছেন ৷ এমনিতেই যেখানে একটা সময় দোকানে চারজন কারিগর কাজ করত সেখানে একজন কারিগর কাজ করছে ৷ যাঁরা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের অনেকেই এখন পেটের দায়ে টোটো চালাচ্ছে ৷ কেউ মিষ্টির দোকানে কাজ করছে ৷" আর এক শিল্পী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, "আমরা খুব অসুবিধার মধ্যে আছি ৷ কী করে সংসার চালাব? বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন তাঁদের কী করে দেখভাল করব, এই সব নিয়ে মাথায় চিন্তা ঘুরছে ৷" 22-25 বছর ধরে স্বর্ণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পেশায় কারিগর গোপাল কবিরাজ বলেন, "সংসার চালানো দায় হয়ে গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে কাজ নেই, মজুরি নেই ৷ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি ৷ "

পূর্ব বর্ধমান শহরের স্বর্ণশিল্পী ওয়েলফেয়ার সমিতির কোষাধ্যক্ষ, পিনাকী নিয়োগী বলেন, "বর্ধমান জেলায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক কারিগর কাজের জন্য আসেন ৷ কিন্তু হাতে কাজ না থাকলে ব্যবসায়ীরা তাদের কী করে কাজদেবে ৷ আগামীদিনে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি আসছে তা আমরা ভালো করেই বুঝতে পারছি ৷"

Last Updated : Jul 1, 2020, 4:36 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.