ভাতার, 6 নভেম্বর: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হল এক যুবকের । মৃতের নাম ছোটন সর্দার । মৃতের বাড়ির লোকের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসা করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পরে বাড়ি ফেরার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন । ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । মৃতের বাড়ির লোকের অভিযোগ, শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ উঠে বসে জল চেয়েছিল ছোটন । জল খেয়ে আবার মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে । এরপরেই বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে । তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসক যদি ছুটি না-দিত তাহলে ছেলেটিকে বাঁচানো সম্ভব হত । সোমবার এমনই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ভাতার গ্রামের বাউরিপাড়া এলাকায় ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের বাউরিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছোটন সর্দার । ভাতারের নাসিগ্রাম মোড়ে তাঁর একটা চায়ের দোকান ছিল । আজ সোমবার ভোরে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন । তাঁকে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় । বাড়ি আসার পথে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তখন তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । বাড়িতে আনার পর হঠাৎ উঠে বসে জল চেয়ে খান ছোটন । তাঁকে জল দেওয়া হয় । জল খাওয়ার পরে তিনি আবার মারা যান ।
এই বিষয়ে মৃতের আত্মীয় ছোট্টু সর্দার বলেন, "এদিন ভোর তিনটের সময় হাসপাতালে নিয়ে যাই । আমরা খবর পাই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে । পরে তাঁকে ট্যাবলেট খাইয়ে ইনজেকশন দিয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় । কিন্তু বাড়ি ফিরিয়ে আনার সময় ছোটনের হেঁচকি উঠতে শুরু করে । ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে । এদিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বললেও বাড়িতে আনার পর উঠে বসে জল খেতে চায় ছোটন । সেই জল খেয়ে নেওয়ার সময়ই তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল । কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় ছোটনের ।"
মৃতের মামা উত্তম সর্দারের কথায়, "ভাগ্নার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল । সামান্য জলও খেয়েছে ৷ তারপর মারা গিয়েছে । তাহলে চিকিৎসকের তো সেটা দেখা উচিত ছিল । হাসপাতালে যদি চিকিৎসা চলতো তাহলে ও সুস্থ হয়ে যেত । আর আমরা দেখে এসেছি যদি কেউ মারা যায় তাহলে তাকে অন্তত ঘণ্টাচারেক হাসপাতালে রেখে দেয় । অথচ ভাতার হাসপাতাল থেকে ওকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন ? চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই ভাগ্না মারা গিয়েছে ।"
এদিকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জয়রাম হেমব্রম বলেন,"ওই যুবক মারা যাওয়ার পরে তাকে হাসপাতালে আনা হয় । চিকিৎসার কোনও গাফিলতি নেই । তাদের যখন বলা হয় প্রয়োজনে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে । একথা শুনে তারা মৃতদেহ নিয়ে চলে যায় ।"
আরও পড়ুন : 60 বোতল মদ সাবাড়, উৎসবের মরশুমে সুরায় মত্ত ইঁদুরও