কাটোয়া, 27 সেপ্টেম্বর : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় যুবতিকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ৷ কাটোয়ার গৌরডাঙার ঘটনা ৷ মৃতের নাম যমুনা দাস (22) ৷ ঘটনার পর যমুনার স্বামী নিতাই ,শ্বশুর মুরারী ও শাশুড়ি বসুন্ধরা দাসকে আটক করেছে পুলিশ ৷
বছর তিনেক আগে কাটোয়ার পাঁজোয়া গ্রামের বাসিন্দা যমুনার সঙ্গে নিতাইয়ের বিয়ে হয় ৷ তাঁদের এক বছর ছয় মাসের একটি কন্যা সন্তান আছে । অভিযোগ, বিয়ের পরই নিতাই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ৷ এই নিয়ে নিত্যদিন তাদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত ৷ গতকাল তা চরমে ওঠে ৷ সেই সময় নিতাই ও তার পরিবারের সদস্যরা যমুনার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ৷ চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থানে যান স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁরা যমুনাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করেন ৷ সেখানেই যমুনার মৃত্যু হয় ৷
এ বিষয়ে যমুনার বাবা লাল্টু দাস বলেন, "বিয়ের পর থেকে আমার মেয়ের উপর অত্যাচার করত নিতাই ও তার পরিবারের লোকজন ৷ কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায় । মেয়ের কাছে শুনেছিলাম জামাইয়ের অন্য এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে ৷ মেয়ে এর প্রতিবাদ করায় জমাই তাকে বেধড়ক মারধর করত ৷ অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে মাস ছয়েক আগে যমুনা আমার কাছে চলে আসে । পরে গ্রামের লোকজন ও পুলিশের মধ্যস্থতায় সালিশি সভা বসিয়ে বিষয়টি মিটমাট হয় । দিন দশেক আগে যমুনা শ্বশুরবাড়িতে ফিরে গেছিল ৷ গতকাল আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি ৷ মৃত্যু আগে আমার মেয়ে বলেছে ওর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ৷ আমরা ওদের কঠোর শাস্তি চাই ৷"
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় কাটোয়া থানার পুলিশ ৷ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷