মেমারি, 19 সেপ্টেম্বর: গোয়ায় কনফারেন্সে গিয়েছিলেন বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (41)। হঠাৎ করে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে বর্ধমানের চিকিৎসকদের কাছে । তবে দেহ যেভাবে পাওয়া গিয়েছে তাতে শোকের পাশাপাশি চিকিৎসক মহলে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা শুরু হয়েছে ।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারির খাড়ো গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন চিকিৎসক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় । তিনি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন । বাড়িতে তাঁর বাবা, মা ও স্ত্রী-সহ দুই সন্তান আছে । গত শনিবার ওই চিকিৎসক সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, "গোয়াতে হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য রোবোটিক্স শিখছি । এর ফলে রোগীদের অনেক উপকার হবে ।" এরপরেই রবিবার তাঁর পরিবার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন ।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে শনিবার সেমিনারে যোগ দিতে তিনি গোয়ায় যান । সেদিনই তিনি সেমিনার কক্ষে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন । এরপরের দিন রবিবার তার ঘরের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার হয় । সেই সময় তার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল ।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে তিনি হোটেলের ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যান । সকালের দিকে বেলা বাড়লেও তিনি ঘর থেকে না বেরোনোয় হোটেলকর্মীরা ডাকাডাকি শুরু করেন । কিন্তু তারপরেও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেলের দরজা ভাঙা হয় । সেখানেই দেখা যায় তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন । তাঁর নাক দিকে রক্ত বের হতে দেখেছেন হোটেলকর্মীরা । তারপর দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ৷
বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক বলেন, "ওই চিকিৎসক কনফারেন্সে যোগ দিতে গোয়ায় গিয়েছিলেন । হোটেলের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ।" এই ঘটনায় মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য শোকপ্রকাশ করে বলেন, "তরুণ চিকিৎসকের অকালপ্রয়াণে বড় ক্ষতি হয়ে গেল । তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই ।"
আরও পড়ুন : শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কেন 1 লক্ষ করে ভাতা পাবেন না ? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির