বর্ধমান, 27 জুন: সোমবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তার সঙ্গে দেখা করতে যান রেণু খাতুন। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে যান রেণু, ঠিক সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জড়িয়ে ধরেন (CM Mamata Banerjee Meets Renu Khatun) ।
এদিন জেলা পুলিশ সুপারকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন রেণুর অভিযুক্ত স্বামী যাতে কোনওভাবেই ছাড়া না পায় সে বিষয়টি দেখতে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে রেণু এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর স্বামীর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। কাটোয়া আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার পরে বাইরে বেরিয়ে রেণু জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর শাস্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি আর্জি জানাবেন। রেণু খাতুন এদিন বলেন, "আমার স্বামীর যেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। শুধু ওর নয় তার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল প্রত্যেকেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক। ওদের শাস্তির দাবি নিয়ে আদালতে যাচ্ছি।"
পাশাপাশি রেণু আরও বলেন, "আমাকে মুখ্যমন্ত্রী আশীর্বাদ করে বলেছেন, অনেক বড়ো হও । আমি যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠি এও তিনি বলেন। তাঁর আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টা পুলিশ সুপারকে দেখতে বলেছেন।"
আরও পড়ুন : স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাই, গোপন জবানবন্দি দিয়ে বেরিয়ে বললেন রেণু
প্রসঙ্গত, বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করতেন রেণু খাতুন। তারপর তিনি নার্সের সরকারি চাকরি পান ৷ কিন্তু এই চাকরি পেয়ে যদি তিনি স্বামীকে ছেড়ে চলে যান সেই আশঙ্কা খেলা করছিল রেণু খাতুনের স্বামী শরিফুল সেখ ওরফে শের মহম্মদের মাথায়। আর এই আশঙ্কার জন্য বেকার শের মহম্মদ তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় অশান্তি করতেন। কিন্তু তার রেণু খাতুন যখন তাকে জানায় কোনও অবস্থাতেই তিনি নার্সের চাকরি ছাড়বেন না তখন স্ত্রীর কবজি কেটে নেয় শের মহম্মদ ৷