ETV Bharat / state

ফাঁকা রাস্তায় সাজানো সেলের বাজারের রকমারি ব্যানার, সমস্যায় ছোটো ব্যবসায়ীরা

বর্ধমান শহরের সেলের বাজার বললেই ভেসে ওঠে বিসি রোডের ছবি। সেল সেল সেল এই চিৎকারেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে যেতেন কী কিনবেন আর কী কিনবেন না তা ভেবে। কিন্তু এবার ?

author img

By

Published : Apr 11, 2020, 12:08 PM IST

Chaitra sales banner is decorated in empty streets in Burdhwan
ধূ ধূ ফাঁকা রাস্তায় সাজানো সেলের বাজারের রকমারি ব্যানার

বর্ধমান, 11 এপ্রিল : বর্ধমান শহরের সেলের বাজার বললেই ভেসে ওঠে BC রোডের ছবি। কার্জনগেট দিয়ে বড়বাজারের দিকে যাওয়ার রাস্তাই BC রোড। অন্যান্য বছর এই সময়টায় সেল সেল সেল- এই চিৎকারেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়তেন, কী কিনবেন আর কী কিনবেন না ভেবে। চৈত্রের শেষ সপ্তাহে তো ছোটো ব্যবসায়ীদের নাওয়া খাওয়ার সময়টুকুও থাকত না। কিন্তু, লকডাউনের জেরে বদলে গেছে সেই ছবিটা।

সেলের বাজারের জন্য বর্ধমান শহরের ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় দু-এক মাস আগে থেকেই। অনেক ছোটো ব্যবসায়ীই সারাবছর এই সেলের বাজারের উপর নির্ভর করে বসে থাকেন। রাস্তার উপর দোকানের সামনে বাঁশের খাঁচা করে রংবেরঙের কাগজ কিংবা ব্যানার দিয়ে ছোটো দোকানঘরগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়। এবছরও সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে লকডাউনের জেরে সব ভেস্তে গেছে।


ব্যবসায়ী বরুণ রায় বলেন, "সারাবছর আমরা ছোটো ব্যবসায়ীরা সেলের বাজারের দিকে তাকিয়ে থাকি। এই সময় বর্ধমানে এত মানুষের ভিড় হয় যে আমাদের পুষিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই আমরা এবছরের জন্য কলকাতার বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে জামা , কাপড়, শাড়িসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনে মজুত করতে শুরু করে দিয়েছিলাম । লকডাউনের জেরে সেসবের ক্ষতি হয়ে গেল।"

ব্যবসায়ী শ্যামল দত্তর মতে, "সেলের বাজারে সবথেকে বেশি ভিড় হয় গ্রামাঞ্চলের মানুষদের । এই সময় চাষিরা আলু, পেঁয়াজ বিক্রি করে হাতে বেশ কিছু টাকা পয়সা পান। সেসব মাথায় রেখেই লকডাউনের আগে সেলে বিক্রির জন্য জামা কাপড় কিনে ফেলেছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল।"

বর্ধমান, 11 এপ্রিল : বর্ধমান শহরের সেলের বাজার বললেই ভেসে ওঠে BC রোডের ছবি। কার্জনগেট দিয়ে বড়বাজারের দিকে যাওয়ার রাস্তাই BC রোড। অন্যান্য বছর এই সময়টায় সেল সেল সেল- এই চিৎকারেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়তেন, কী কিনবেন আর কী কিনবেন না ভেবে। চৈত্রের শেষ সপ্তাহে তো ছোটো ব্যবসায়ীদের নাওয়া খাওয়ার সময়টুকুও থাকত না। কিন্তু, লকডাউনের জেরে বদলে গেছে সেই ছবিটা।

সেলের বাজারের জন্য বর্ধমান শহরের ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় দু-এক মাস আগে থেকেই। অনেক ছোটো ব্যবসায়ীই সারাবছর এই সেলের বাজারের উপর নির্ভর করে বসে থাকেন। রাস্তার উপর দোকানের সামনে বাঁশের খাঁচা করে রংবেরঙের কাগজ কিংবা ব্যানার দিয়ে ছোটো দোকানঘরগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়। এবছরও সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে লকডাউনের জেরে সব ভেস্তে গেছে।


ব্যবসায়ী বরুণ রায় বলেন, "সারাবছর আমরা ছোটো ব্যবসায়ীরা সেলের বাজারের দিকে তাকিয়ে থাকি। এই সময় বর্ধমানে এত মানুষের ভিড় হয় যে আমাদের পুষিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই আমরা এবছরের জন্য কলকাতার বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে জামা , কাপড়, শাড়িসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনে মজুত করতে শুরু করে দিয়েছিলাম । লকডাউনের জেরে সেসবের ক্ষতি হয়ে গেল।"

ব্যবসায়ী শ্যামল দত্তর মতে, "সেলের বাজারে সবথেকে বেশি ভিড় হয় গ্রামাঞ্চলের মানুষদের । এই সময় চাষিরা আলু, পেঁয়াজ বিক্রি করে হাতে বেশ কিছু টাকা পয়সা পান। সেসব মাথায় রেখেই লকডাউনের আগে সেলে বিক্রির জন্য জামা কাপড় কিনে ফেলেছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.