বর্ধমান, 23 নভেম্বর : বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে দালালচক্র সক্রিয় থাকার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বুধবার দালাল সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করল বর্ধমান থানার পুলিশ । অভিযুক্তের নাম শাবজান শেখ ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, থেকে বিষয়টি সম্পর্কে এলাকাবাসীকে সচেতন করা হয়েছে। তাঁদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে চিকিৎসা ব্যাপারে কাউকে যেন কোনও টাকা না দেয়। লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয় ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মঙ্গলকোট থানার বাসিন্দা সুফিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট করাতে হাসপাতালে এসেছিলেন । হাসপাতালে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার জন্য তিনি স্থানীয় একটা দোকানে কাগজপত্র জেরক্স করাতে যান । অভিযোগ, সেখানে শাহজাহান নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় । শাহজাহান সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিনিময়ে পাঁচশো টাকা চায়। এরপর সুফিয়ার পুলিশ ক্যাম্পে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানালে পুলিশ শাহজাহানকে আটক করো হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গেই সার্টিফিকেট তৈরি করতে আসা সুফিয়ার রহমান নামে ওই ব্যক্তি বলেন, 'চিকিৎসক দেখিয়ে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট করানোর চেষ্টা করি । অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে গেলে হাসপাতাল লাগোয়া দোকানে এক ব্যক্তি শ-পাঁচেক টাকা দাবি করেন ৷ টাকার বিনময়ে শংসাপত্র তৈরি করে দেওয়ার দাবি জনান । পুলিশকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানালে, ওই ব্যক্তিকে আটক করে ৷
ঘটনা প্রসঙ্গেই সার্টিফিকেট তৈরি করতে আসা সুফিয়ার রহমান নামে ওই ব্যক্তি বলেন, 'আমি চিকিৎসক দেখিয়ে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট করতে চাই । তাই অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করার জন্য হাসপাতাল লাগোয়া একটি দোকানে যাই ৷ সেখানেই শাহজাহান এক ব্যক্তি শ-পাঁচেক টাকা দাবি করেন ৷ টাকার বিনময়ে শংসাপত্র তৈরি করে দেওয়ার কথাও বলেন । পুলিশকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানালে, ওই ব্যক্তিকে আটক করে ৷"
অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ বলেন, "হাসপাতালে দু-আড়াই বছর আসছি । প্রতিবন্ধীর শংসাপত্র তৈরি করে দিলে লোকজন সামর্থ্য মতো পঞ্চাশ, একশো কেউবা পাঁচশো টাকা দেয় । কাজ না হলে টাকা নিই না। আমি কাগজপত্র জেরক্স করে ফর্ম ফিলাপ করে দিতাম।' বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল ডাঃ তাপস ঘোষ বলেন, "টাকা দিয়ে প্রতিবন্ধী শংসাপত্রে দেওয়ার অভিযোগ মৌখিকভাবে পেয়েছি। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে । পুলিশ একজনকে আটক করেছে । অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ তবে হাসপাতাল চত্বরে দালাল চক্র রোধের জন্য আমরা সচেষ্ট আছি। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা বিষয়টি নজরে রাখছে। আমরা প্রচারও করছি ৷ হাসপাতালে কোন ব্যক্তি যেন দালালের হাতে পড়ে প্রতারিত না হয়।সেইজন্য মাইকিংও করা হয়।যদি কেউ টাকা পয়সা চায় তাহলে তাকে টাকা না দিয়ে পুলিশ ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে কোন লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়।"
আরও পড়ুন :