ETV Bharat / state

Bomb Recovered at TMC Party: তৃণমূল কংগ্রেসের অস্থায়ী কার্যালয়ে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

author img

By

Published : Oct 16, 2022, 1:56 PM IST

জামালপুরের জ্যোতশ্রীরামে অমরপুর এলাকায় বোমা উদ্ধার করল পুলিশ (Bomb Recovers at TMC Party Office in Jamalpur) ৷ জানা গিয়েছে, যেখান থেকে বোমাগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গাটি তৃণমূলের অস্থায়ী পার্টি অফিস ৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ৷

Bomb Recovers at TMC Party Office in Jamalpur East Bardhaman
Bomb Recovers at TMC Party Office in Jamalpur East Bardhaman

জামালপুর (পূর্ব বর্ধমান), 16 অক্টোবর: পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জ্যোতশ্রীরামে অমরপুর এলাকায় তৃণমূলের অস্থায়ী পার্টি অফিসে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য (Bomb Recovers at TMC Party Office in Jamalpur) ৷ জামালপুর থানার পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করেছে ৷ ঘটনার জেরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷

সূত্রের খবর, অমরপুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে ৷ উপপ্রধান তপন দে’র এবং জ্যোতশ্রীরাম অঞ্চল সভাপতি কার্তিক ঘোষের গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ৷ এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়েছে ৷ এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তপন দে’র অনুগামীদের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতা হীরু শেখের একটি ধানকল রয়েছে ৷ সেখানেই একটি অস্থায়ী পার্টি অফিস রয়েছে ৷ তবে, সেখানে তৃণমূলের কোনও কাজকর্ম হয় না ৷ সেখানে তৃণমূলের লোকজন যায় আড্ডা দেওয়া জন্য ৷ গতকাল অনেক রাত পর্যন্ত ওই অস্থায়ী পার্টি অফিসে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরে যান ৷ তখনও পর্যন্ত সব স্বাভাবিক ছিল বলে দাবি তপন দে গোষ্ঠীর ৷ কিন্তু, এ দিন সকালে তাঁরা শোনেন পার্টি অফিসে বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷

এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী তথা তপন দে গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত নাসির আলি বলেন, ‘‘আমরা বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছি ৷ সেই সময় আমাদের নামে বেশ কিছু মামলা করা হয়েছিল ৷ এখন রফিকুল ইসলাম নামে তৃণমূলেরই এক নেতা আমাদের ওখান থেকে সরানোর চেষ্টা করছে ৷ ওই জায়গাটা দখল করতে চাইছে ৷ তাই ওখানে বোমা রেখে দিয়েছে ৷’’ তাঁর অভিযোগ কয়েকদিন আগে রফিকুলের লোকজন নাকি এলাকায় বোমাবাজিও করেছে ৷ প্রসঙ্গত, এই রফিকুল ইসলাম জ্যোতশ্রীরাম এলাকার অঞ্চল সভাপতি কার্তিক ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত ৷

আরও পড়ুন: গোলাবাড়ি থানার ট্রাফিক গার্ডের কম্পাউন্ডে 8টি বোমা উদ্ধার

যদিও, কার্তিক ঘোষ তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, ‘‘ওই অস্থায়ী পার্টি অফিসে তৃণমূলের লোকজনই আড্ডা দেয় ৷ সেখানে কারা বোমা রেখে গেল বুঝতে পারছি না ৷ তবে, একটা গোষ্ঠী তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে বালির বেআইনি কারবার চালাচ্ছে ৷ তারাই সেখানে বোমা রাখতে পারে যাতে পার্টি অফিসে কেউ বসতে না পারে ৷’’ এই ঘটনায় জামালপুর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে ৷

জামালপুর (পূর্ব বর্ধমান), 16 অক্টোবর: পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জ্যোতশ্রীরামে অমরপুর এলাকায় তৃণমূলের অস্থায়ী পার্টি অফিসে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য (Bomb Recovers at TMC Party Office in Jamalpur) ৷ জামালপুর থানার পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করেছে ৷ ঘটনার জেরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷

সূত্রের খবর, অমরপুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে ৷ উপপ্রধান তপন দে’র এবং জ্যোতশ্রীরাম অঞ্চল সভাপতি কার্তিক ঘোষের গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ৷ এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়েছে ৷ এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তপন দে’র অনুগামীদের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতা হীরু শেখের একটি ধানকল রয়েছে ৷ সেখানেই একটি অস্থায়ী পার্টি অফিস রয়েছে ৷ তবে, সেখানে তৃণমূলের কোনও কাজকর্ম হয় না ৷ সেখানে তৃণমূলের লোকজন যায় আড্ডা দেওয়া জন্য ৷ গতকাল অনেক রাত পর্যন্ত ওই অস্থায়ী পার্টি অফিসে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরে যান ৷ তখনও পর্যন্ত সব স্বাভাবিক ছিল বলে দাবি তপন দে গোষ্ঠীর ৷ কিন্তু, এ দিন সকালে তাঁরা শোনেন পার্টি অফিসে বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷

এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী তথা তপন দে গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত নাসির আলি বলেন, ‘‘আমরা বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছি ৷ সেই সময় আমাদের নামে বেশ কিছু মামলা করা হয়েছিল ৷ এখন রফিকুল ইসলাম নামে তৃণমূলেরই এক নেতা আমাদের ওখান থেকে সরানোর চেষ্টা করছে ৷ ওই জায়গাটা দখল করতে চাইছে ৷ তাই ওখানে বোমা রেখে দিয়েছে ৷’’ তাঁর অভিযোগ কয়েকদিন আগে রফিকুলের লোকজন নাকি এলাকায় বোমাবাজিও করেছে ৷ প্রসঙ্গত, এই রফিকুল ইসলাম জ্যোতশ্রীরাম এলাকার অঞ্চল সভাপতি কার্তিক ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত ৷

আরও পড়ুন: গোলাবাড়ি থানার ট্রাফিক গার্ডের কম্পাউন্ডে 8টি বোমা উদ্ধার

যদিও, কার্তিক ঘোষ তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, ‘‘ওই অস্থায়ী পার্টি অফিসে তৃণমূলের লোকজনই আড্ডা দেয় ৷ সেখানে কারা বোমা রেখে গেল বুঝতে পারছি না ৷ তবে, একটা গোষ্ঠী তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে বালির বেআইনি কারবার চালাচ্ছে ৷ তারাই সেখানে বোমা রাখতে পারে যাতে পার্টি অফিসে কেউ বসতে না পারে ৷’’ এই ঘটনায় জামালপুর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.