মেমারি, 23 মার্চ: বছর 20 আগে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপ্রহারে মেরে ফেলার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক বিজেপি নেতা (BJP Leader Arrest)। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও 20 বছর আগের মামলায় আচমকা পুলিশের এই তৎপরতায় প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা । পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
ধৃত ওই বিজেপি নেতার নাম সন্তোষ রায় (Santosh Roy)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, 2003 সালের 18 নভেম্বর মেমারির পাল্লারোডে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় শ্রীবাস মধু নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করে স্থানীয় কয়েকজন। তাদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি নেতা সন্তোষ রায়ও। ঘটনার কয়েকদিন পর আহত শ্রীবাস মধুর মৃত্য়ু হয়। এরপরই মধুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও নাম বিভ্রাটের কারণে সন্তোষ রায়কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এরপর 2014 সালে লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে সন্তোষ রায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
সন্তোষ রায় বিজেপির রাজ্য কার্যকরী কমিটিরও সদস্য। গতকাল গভীর রাতে পুরনো ওই মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। যদিও বিজেপি-র দাবি, সন্তোষ রায়ের নাম ওই মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে জড়ানো হয়েছিল। কারণ অভিযোগ পত্রে তাঁর বাবার নাম ছিল আলাদা। এটা নির্বাচনের আগে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হতে পারে বলে আশংকা বিজেপের। এদিন গ্রেফতার হওয়ার পর সন্তোষ রায় বলেন, "2003 সালে একজন চোরকে স্থানীয় মানুষরা মারধর করে। পরে সেই ব্যক্তি মারা যায়। সেই ঘটনায় আমার নাম জড়ায়। অথচ সেখানে আমি ছিলামই না। আমিই যে ওই ব্যক্তি তা পুলিশ কী করে নিশ্চিত হল ? আর কুড়ি বছর পর পুলিশের মনে হল আমি ওই ব্যক্তি!'
এদিন বিজেপি নেতা ক্ষোভের সুরে বলেন, "কুড়ি বছর ধরে পুলিশ কি ঘুমাচ্ছিল ?' পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, চার্জশিটে সন্তোষ রায়ের যে নাম ছিল সেখানে তাঁর বাবার নাম ছিল সুনীল রায়। অথচ তাঁর বাবার নাম সুশীল রায়। তিনি বলেন, "সেই সময় পুলিশ আমার বাড়ি বেশ কয়েকবার যায়। আমরা বিষয়টি তখন জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে জানিয়েছিলাম। তাহলে আমি যখন সেই ব্যক্তিই নই ৷ তাহলে কেন আমাকে গ্রেফতার করা হল?'
আরও পড়ুন: পার্থর অভিযোগকে 'বোগাস' বললেন সুজন, প্রমাণ চাইলেন দিলীপ
বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য সন্তোষ রায়কে পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকেই এদিন গ্রেফতার করেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য় প্রণোদিত হয়েই তাঁকে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র ।