বর্ধমান, 21 জানুয়ারি : শুক্রবার সকালে বর্ধমান শহরের বিসি রোড এলাকায় এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভয়াবহ ডাকাতির (Bank Robbery in Bardhaman ) ঘটনা ঘটল । ব্যাঙ্ক খোলার পরেই গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্কে ঢুকে রিভলবার বের করে সকলকে ভয় দেখিয়ে প্রায় 30 লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিল 12-15 জনের একটি ডাকাত হল ৷
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ 12-15 জনের একটি দুষ্কৃতী দল গ্রাহক সেজে বর্ধমান শহরের বিসি রোডের দত্ত সেন্টার সংলগ্ন ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের (পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক) ভিতরে ঢুকে পড়ে । সেই সময় বেশ কিছু গ্রাহক ব্যাঙ্কের ভিতরে ছিলেন ৷ অভিযোগ, গ্রাহকদের রিভলবার দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ওই দুষ্কৃতীরা । কেউ ফোন দিতে অস্বীকার করলে তাঁদের লাথি,চড়-থাপ্পড়ও মারা হয় ৷ বেশ কিছু ফোন আছড়ে ভেঙেও ফেলে ওই দুষ্কৃতীরা । এরপর ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লুঠ করে বাইরে বেরিয়ে যায় ডাকাত দলটি । পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের মূল গেটে বাইরে থেকে তালাও ঝুলিয়ে দিয়ে যায় ।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার স্বামীর দেহ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়-সহ বর্ধমান থানার পুলিশ । তদন্তে নেমে ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ-সহ ওই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ । ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানায় খবর দেওয়া হয়েছে । শুরু হয়েছে নাকা-চেকিং । সমীর চৌধুরী নামে ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক বলেন, "আমার মেয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি আছে । তাই টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্কে ঢুকেছিলাম । সেই সময় কয়েকজন ব্যাঙ্কের ভিতরে ছিল । তারা সকলেই কম বয়সি । প্রত্যেকেরই মুখে রুমাল, মাফলার বাঁধা, হাতে রিভলবার । আমি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমায় এক জায়গায় বসিয়ে দেয় তারা । ওরা প্রত্যেকেই হিন্দিতেই কথা বলছিল ।" অন্যদিকে, ব্যাঙ্ককর্মী বিমল দাস বলেন, "আমি তখন ব্যাঙ্কে ছিলাম না । আমি ঢুকতেই আমার মাথায় রিভলবার ঠেকায় দুষ্কৃতীরা ।" জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, প্রায় 30 লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ডাকাতদলটি ৷