বর্ধমান, 9 ডিসেম্বর: বর্ধমান স্টেশনের 2 নম্বর প্ল্যাটফর্মে জিআরপি মহিলা কর্মীদের সহযোগিতায় কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন এক গৃহবধূ । মা ও শিশু দু'জনকেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। দু'জনেই সুস্থ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে মিথিলা এক্সপ্রেসে চড়েন বিহারের পূর্ব চম্পারণের সুগৌলির বাসিন্দা গোবিন্দ কুমার ও তাঁর স্ত্রী নিশা। নিশা ছিলেন সন্তানসম্ভবা ৷ হাওড়া থেকে বাড়ি (বিহার) ফিরছিলেন ওই দম্পতি ৷
গতকাল বিকেল পাঁচটার পর যখন মিথিলা এক্সপ্রেস ব্যান্ডেল স্টেশন ক্রস করছিল তখনই নিশার প্রসব যন্ত্রণা ওঠে । ট্রেনে সেইসময় দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীকে সেই কথা জানান নিশার স্বামী গোবিন্দ কুমার। তিনি তাঁর ডিভিশন হাওড়ায় খবর দেন। হাওড়া থেকে পুরো বিষয়টি বর্ধমান স্টেশনের জিআরপি'কে জানানো হয়। কারণ ব্যান্ডেলের পরবর্তী স্টপেজ বর্ধমান স্টেশন ৷ বর্ধমান জিআরপি আধিকারিকরা সেমতো প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। স্টেশনে পৌঁছন জিআরপি'র কর্মী ও চিকিৎসকরা।
স্টেশন চত্বর কাপড় দিয়ে ঘিরে প্রসবের জায়গা তৈরি করা হয় 2 নম্বর প্ল্যাটফর্মেই। চিকিৎসকরা যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত থাকেন। মিথিলা এক্সপ্রেস 2 নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানো হয়। সেখানে নামানো হয় নিশাকে ৷ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় 2 নম্বর প্যাল্টফর্মে প্রসব ঘেরা জায়গায় ৷ কিছুক্ষণ পরেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন নিশা ৷ এরপর তাঁদের তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করা হয়। রেলের ভূমিকায় রীতিমতো খুশি বাবা গোবিন্দ কুমার।
তিনি জানান, মাঝপথে তাঁর স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রথমে কী করবেন তিনি ভেবে উঠতে পারছিলেন না। পরে রেলপুলিশের দেখা পেলে তাঁকে ঘটনার কথা জানান। রেলপুলিশ যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাতে তিনি কৃতজ্ঞ। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধের দিকে হাওড়া থেকে ফোন করে জানানো হয় সন্তানসম্ভবা সন্তানসম্ভবা নিশার কথা। সেই মতো চিকিৎসক-সহ সকলেই প্রস্তুতি নেন। জায়গাটিকে কাপড় দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। তারপর ট্রেন থামার পরে তিনি স্টেশনে সন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু তাঁরা দূর জায়গা থেকে ফিরছিলেন পথে প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় বিপদের সম্ভাবনা ছিল। রেলপুলিশের সহযোগিতায় তার বিপদ ঘটেনি। শিশু ও তাঁর মা সুস্থ আছে।
আরও পড়ুন: