বর্ধমান, 2 মার্চ : ফর্ম ফিলাপ করে পরীক্ষার ফিজ দেওয়ার পরেও পরীক্ষার ফল বেরোয়নি কেন? এই প্রশ্ন তুলে বর্ধমান রাজ কলেজের প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা। যদিও রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মমতো ফর্ম ফিলাপ করেননি৷ তাই তাঁদের রেজাল্ট আসেনি।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রীদের অফলাইন এবং অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করা হয়েছিল। সেই মতো ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষার ফি বাবদ টাকা পয়সা জমা দেন। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে সেই জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের যাবতীয় ডকুমেন্ট জমা নেওয়া হয়। যাঁরা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে পারেননি তাঁদের কলেজে এসে যাবতীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে ফল বেরোনোর পরে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর রেজাল্ট আসেনি। এর পরেই উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীরা রাজ কলেজের প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ কলেজে ছুটে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ।
পলিটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্র ইন্দ্রনীল সাঁই বলেন, ‘‘পরীক্ষার ফি বাবদ টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। অ্যাডমিশন ফি নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু পরীক্ষার রেজাল্ট বের করছে না বর্ধমান রাজ কলেজ। বিষয়টি নিয়ে আমরা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ডেপুটেশন দিতে যাই। সেখান থেকে কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হচ্ছে। প্রিন্সিপালের কাছে গেলে আবার বিশ্ববিদ্যালয় পাঠানো হচ্ছে। এইভাবে তিন সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। আমাদের একটাই দাবি আমাদের রেজাল্ট দিয়ে দেওয়া হোক। আমাদের রেজাল্ট যাই হোক না। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে ছেলে নিয়ে এসে আমাদের শাসাচ্ছে।’’
কমার্সের ছাত্র মহ আসিফ বলেন, ‘‘আমরা সবাই ফর্ম ফিলাপ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের বলা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে জানাতে হত। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাতে হবে। তবে ফর্ম ফিলাপ হবে। এখন দেখছি আমাদের রেজাল্ট আসেনি।’’
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, আটক পুলিশের
রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল নিরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ সঠিক নয়। কলেজে বহিরাগত কোনও ছাত্র আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ছাত্রদের সুবিধার জন্য যাঁরা ফর্ম ফিলাপ করতে আসতে পারবেন না তাঁদের সুবিধার জন্য হোয়াটস অ্যাপে তথ্য নেওয়া হয়েছে। 1500 ছেলেমেয়ে সব কিছু নিয়ম মেনে জমা দিয়েছেন। কিন্তু বেশ কিছু ছেলেমেয়ে নোটিফিকেশন দেখেননি। যদি সিস্টেম ভুল থাকতো তাহলে 1500 ছেলেমেয়ে ফর্ম ফিলাপ করল কীভাবে। যাঁদের রেজাল্টের সমস্যা হয়েছে, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করুক। এতে আমার কিছু করার নেই।’’