ETV Bharat / state

ATM-এ কার্ড হাতিয়ে প্রতারণা, অভিযুক্তদের ধরাল CCTV ফুটেজ

author img

By

Published : Aug 18, 2019, 9:17 PM IST

মন্তেশ্বর পুলিশের জালে চার ডেবিট কার্ড প্রতারক ৷ ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় কয়েক হাজার টাকা, একটি চারচাকা গাড়ি ও অনেকগুলি ডেবিট কার্ড ৷

অভিযুক্তদের ধরাল CCTV ফুটেজ

মন্তেশ্বর, 18 অগাস্ট : পুলিশের জালে ধরা পড়ল চার ডেবিট কার্ড প্রতারক ৷ CCTV ফুটেজ থেকে পাওয়া একটি চারচাকা গাড়ির নম্বর ধরে তাদের গ্রেপ্তার করে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ৷ উদ্ধার করা হয় কয়েক হাজার টাকা, একটি চারচাকা গাড়ি ও অনেকগুলি ডেবিট কার্ড ৷

চৌধুরি আবদুল বোরহান । পেশায় দরজি ৷ বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামে ৷ 7 অগাস্ট এলাকার একটি ATM-এ কার্ডের ব্যালেন্স চেক করতে যান । সেসময় অচেনা এক যুবক তাঁকে জানান, ব্যালেন্স চেক প্রক্রিয়াটি ঠিকমতো বাতিল হয়নি ৷ তিনি তখন ওই যুবককে ডেবিট কার্ডটি দেন । কিন্তু সঠিক পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার নাম করে কৌশলে আবদুলের কার্ডটি হাতিয়ে নেয় সে ৷ অন্য একটি কার্ড দেয় ৷ তখন অবশ্য বিষয়টি টের পাননি তিনি ৷ বাড়ি ফিরে মোবাইলের মেসেজ দেখে জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সেদিন দফায় দফায় মোট এক লাখ তেরো হাজার পাঁচশো টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ পরের দিন মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ৷

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই ডেবিট কার্ড দিয়েই প্রতারকরা বীরভূমের মহম্মদবাজার ও তারাপীঠ থেকে সোনাসহ, পেট্রল ও জামাকাপড় কেনে ৷ CCTV ফুটেজ থেকে প্রতারকদের সঙ্গে থাকা একটি চারচাকা গাড়ির সন্ধান পায় । গাড়ির নম্বর ধরেই পুলিশ দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা সোমনাথ পুরকায়েস্থ পর্যন্ত পৌঁছায় ৷ সোমনাথ ওই গাড়িটির মালিক ৷ তাকে জেরা করেই ওই চারজন প্রতারকের নাম জানতে পারে পুলিশ ৷ সুজিত মণ্ডল, রোহিত খান, অমিত পাইক ও সৌরভ মণ্ডল । গ্রেপ্তার করা হয় তাদের ৷

পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত ঘোষ বলেন,"ATM প্রতারণার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । একটি চারচাকা গাড়ি, চার হাজার টাকা, 18টি ডেবিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে ।"

মন্তেশ্বর, 18 অগাস্ট : পুলিশের জালে ধরা পড়ল চার ডেবিট কার্ড প্রতারক ৷ CCTV ফুটেজ থেকে পাওয়া একটি চারচাকা গাড়ির নম্বর ধরে তাদের গ্রেপ্তার করে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ৷ উদ্ধার করা হয় কয়েক হাজার টাকা, একটি চারচাকা গাড়ি ও অনেকগুলি ডেবিট কার্ড ৷

চৌধুরি আবদুল বোরহান । পেশায় দরজি ৷ বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামে ৷ 7 অগাস্ট এলাকার একটি ATM-এ কার্ডের ব্যালেন্স চেক করতে যান । সেসময় অচেনা এক যুবক তাঁকে জানান, ব্যালেন্স চেক প্রক্রিয়াটি ঠিকমতো বাতিল হয়নি ৷ তিনি তখন ওই যুবককে ডেবিট কার্ডটি দেন । কিন্তু সঠিক পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার নাম করে কৌশলে আবদুলের কার্ডটি হাতিয়ে নেয় সে ৷ অন্য একটি কার্ড দেয় ৷ তখন অবশ্য বিষয়টি টের পাননি তিনি ৷ বাড়ি ফিরে মোবাইলের মেসেজ দেখে জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সেদিন দফায় দফায় মোট এক লাখ তেরো হাজার পাঁচশো টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ পরের দিন মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ৷

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই ডেবিট কার্ড দিয়েই প্রতারকরা বীরভূমের মহম্মদবাজার ও তারাপীঠ থেকে সোনাসহ, পেট্রল ও জামাকাপড় কেনে ৷ CCTV ফুটেজ থেকে প্রতারকদের সঙ্গে থাকা একটি চারচাকা গাড়ির সন্ধান পায় । গাড়ির নম্বর ধরেই পুলিশ দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা সোমনাথ পুরকায়েস্থ পর্যন্ত পৌঁছায় ৷ সোমনাথ ওই গাড়িটির মালিক ৷ তাকে জেরা করেই ওই চারজন প্রতারকের নাম জানতে পারে পুলিশ ৷ সুজিত মণ্ডল, রোহিত খান, অমিত পাইক ও সৌরভ মণ্ডল । গ্রেপ্তার করা হয় তাদের ৷

পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত ঘোষ বলেন,"ATM প্রতারণার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । একটি চারচাকা গাড়ি, চার হাজার টাকা, 18টি ডেবিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে ।"

Intro:সিসিটিভি ফুটেজ থেকে মারুতি গাড়ির নাম্বার দেখে এটিএম কার্ড প্রতারকদের ধরল পুলিশ

পুলক যশ, মন্তেশ্বর


মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। তাই বিয়ের কেনাকাটার জন্য এটিএম থেকে ব্যালেন্স চেক করতে গিয়েছিলেন চৌধুরী আবদুল বোরহান। এটিএম থেকেই তার কার্ড বেহাত হয়ে যায়। পরে সেই কার্ড থেকে লক্ষাধিক টাকা জালিয়াতিও করে প্রতারকেরা। সেই তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করল মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সুজিৎ মন্ডল,রোহিত খান,অমিত পাইক ও সৌরভ মন্ডল।সকলেরই বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুর থানা এলাকায়।তাদের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা,একটি চারচাকা গাড়ি,প্রচুর এটিএম কার্ড উদ্ধার করেন পুলিশ।
                  
স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে,মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামের বাসিন্দা পেশায় দর্জি চৌধুরী আব্দুল বোরহান গত ৭ই আগষ্ট স্থানীয় এটিএমে ব্যালেন্স চেক করতে যান।তখন এক যুবক তাকে বলেন যে তার প্রসেসটা ঠিকমতো ক্যান্সেল হয়নি।তখন তিনি ওই যুবককে এটিএম কার্ডটি দেন।এরপরেই কৌশলে অন্য একটি এটিএম কার্ড দিয়ে তার কার্ডটি হাতিয়ে নেয়।এরপর ওইদিনেই তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা একলক্ষ তেরো হাজার পাঁচশো টাকা দফায়-দফায় তুলে নেওয়া হয়।এরপরেই তিনি মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারেন কুসুমগ্রামের ওই এটিএম থেকে  কিছু টাকা তুলে নেওয়ার পর দুষ্কৃতিরা বীরভূমের মহম্মদবাজার,তারাপীঠে সোনা সহ পেট্রোল ও জামাকাপড় কেনেন ওই এটিএম কার্ড দিয়ে।পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে দুষ্কৃতিদের সঙ্গে থাকা একটি মারুতি গাড়ি দেখতে পান।সেই নম্বর ধরেই পুলিশ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা সোমনাথ পুরকায়েত অর্থাৎ গাড়ির মালিককে জেরা করলে ধৃতরা ধরা পড়ে।এই বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত ঘোষ বলেন,‘এটিএম প্রতারণার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একটি মারুতি গাড়ি,চার হাজার টাকা,১৮ টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।এই ঘটনায় অভিযুক্তদের নিয়ে টিআই প্যারেড করানো হবে।’ধৃতদের জেরা করে আরো বড়োসড়ো চক্র ও মূল চাঁইয়ের হদিশ পাবেন বলেই মনে করছেন পুলিশ।Body:সিসিটিভি ফুটেজ Conclusion:দেখে প্রতারণা চক্র

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.