মঙ্গলকোট, 15 জুলাই : মঙ্গলকোটের ঘটনায় 13 জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ । এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে । জখমদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে 4 জনের গতকাল চারদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ হয়েছে। বাকিদের জেল হেপাজতে পাঠানো হয়েছে ।
সোমবার দুপুরে অজয় নদ লাগোয়া বকুলিয়া গ্রামে বালিঘাটের দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । অভিযোগ, শুরুতে দু'পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হলেও পরে একদল দুষ্কৃতী গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় । মারধর করা হয় মহিলাদের । গুলি ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে । ঘটনায় 2 মহিলাসহ 5 জন জখম হয়েছেন । তাঁদের প্রথমে মঙ্গলকোট ব্লক প্রাথমিক হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ প্রত্যেকের মাথায় ও চোখে আঘাত লেগেছে । এদিকে ঘটনার পর তৃণমূল অভিযোগ তোলে, BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে । অন্যদিকে BJP-র পালটা দাবি, শাসকদলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে যুক্ত ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম অঞ্চলে অজয় নদের তীরবর্তী বকুলিয়া গ্রামের কাছে বালিঘাট থেকে বালি তোলা হয় । ওই ঘাট থেকে বালি তুলে গ্রামের রাস্তা দিয়ে বালির গাড়ি চলাচল করে । একাংশ গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বালিঘাট মালিকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয় । সেই টাকা কারা নেবে । কোন গোষ্ঠীর হাতে গ্রামের ক্ষমতা থাকবে সেই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই পক্ষের ঝামেলা চলছিল বলে অভিযোগ। তার জেরেই সোমবার ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মঙ্গলকোট । চলে বোমাবাজি । বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ । ঘটনায় পাঁচজন জখম হয় । এনিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অপূর্ব চৌধুরি অভিযোগ তোলেন, BJP পরিকল্পনা করে তাঁদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে । যদিও BJP নেতা অনিল দত্তর দাবি, ওই এলাকায় BJP-র কোনও সংগঠন নেই । তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে ।