মেদিনীপুর, 25 জানুয়ারি: পেশায় শিক্ষক (west midnapore teacher) ৷ তবে নেশা গাছ ৷ প্রায় 24 বছর ধরে টবে ফলাচ্ছেন বিরল প্রজাতির বিভিন্ন ফল ফুল । এবারে তিনি টবে ফলিয়েছেন বিরল প্রজাতির কালো টমেটো (black tomato), যা দুরারোগ্য ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকরী বলে মনে করছেন এই শিক্ষক । শখের বাগান তাঁকে এনে দিয়েছে হাজারের উপর ট্রফি সার্টিফিকেট ৷
পশ্চিম মেদিনীপুরের (west midnapore news) অরবিন্দ নগরের স্কুলে প্রধান শিক্ষক অরিত্র কর । তাঁর বিষয় অ্যাকাউন্টেন্সি ৷ তবে সেই শিক্ষকই টবে ফল-ফুল ফলানো, তারপর সেগুলি নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া- এগুলি ছোটবেলা থেকেই ভালবাসেন ৷ যখন তিনি নবম শ্রেণিতে পড়তেন, তখন থেকেই তাঁর এই নেশা ।
1998 সাল থেকে সেই নেশার টানে তাঁর ঝুলিতে এসেছে প্রচুর ট্রফি ও শংসাপত্র । জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় প্রদর্শনী হলেই তাঁর ফলানো ফল-ফুল প্রদর্শনীতে সবার প্রশংসা কুড়িয়ে নেয় ৷ প্রতি বছরই নতুন নতুন প্রজাতির ফুল ফল চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন এই শিক্ষক ৷ তবে এবারে তাঁর চমক, টবে বিরল প্রজাতির কালো টমেটোর (black tomato plantation) ফলন ৷
আরও পড়ুন: AMC Election 2022 : আসানসোল পৌরভোটে শাসক-বিরোধী সকলের মুখেই নদী ও খাল সংস্কারের প্রতিশ্রুতি
স্বাদ অন্যান্য টমেটোর মতোই, তবে গায়ের রঙ পুরো কালো । নির্দিষ্ট তিনটি টবে এই টমেটো চাষ করেছেন । একটা গাছে ধরেছে শতাধিক টমেটো, আর তাতেই উৎফুল্ল শিক্ষক । তাঁর দাবি, এই টমেটো স্বাদে-গুণে যেমন অতুলনীয় তেমনই মানুষের পুষ্টি বৃদ্ধি ও শারীরিক বিভিন্ন রোগ সারাতে বিশেষ কার্যকরী ।
ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে বিদেশি প্রজাতির এই টমেটো ফলিয়েছেন অরিত্র ৷ তাঁর মতে, এই টমেটো ফলানোও বিশেষ কষ্টসাধ্য নয়, আর এতে বাড়তি সারও লাগে না ৷ তবে এই টমেটোকে পাখির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য মশারি দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন টবগুলি । এই বছরও মেদিনীপুর জেলার হর্টিকালচার দফতর থেকে এই কালো টমেটোর জন্য প্রথম পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে এসেছে ।
অরিত্র বলেন, "ছোট থেকেই আমার এটা শখ ৷ প্রতিবার নানা প্রদর্শনী থেকে পুরস্কার পাই । আমি এবারে যে কালো টমেটো টবে লাগিয়েছি, তা দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে ।"