ETV Bharat / state

'Dead' Child Alive: ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছে সরকারি হাসপাতাল, সমাধি দেওয়ার আগেই নড়ে উঠল সদ্যোজাত

ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছিল ঘাটালের সুপার স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল ৷ তবে সমাধি দিতে গিয়ে দেখা যায় যে সদ্যোজাত নড়ছে ৷

author img

By

Published : Apr 9, 2023, 1:11 PM IST

Updated : Apr 9, 2023, 4:28 PM IST

'Dead' Child Alive ETV Bharat
সমাধি দেওয়ার আগেই নড়ে উঠল সদ্যোজাত
সমাধি দেওয়ার আগেই নড়ে উঠল সদ্যোজাত

ঘাটাল, 9 এপ্রিল: সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল সরকারি হাসপাতাল ৷ সেই শিশুর দেহ সমাধি দিতে গিয়েই চমকে উঠলেন পরিবারের সদস্যরা । নড়েচড়ে ওঠে একরত্তি ৷ তাই দেখেই হুলুস্থুল পড়ে যায় ৷ জানা যায়, তখনও প্রাণ রয়েছে শিশুটির শরীরে ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের হাসপাতালে ৷ তড়িঘড়ি সেই শিশুকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি ৷ কয়েক ঘণ্টা পরই ফের হাসপাতালের তরফে জানানো হয় যে, সব শেষ ৷ এ বার প্রকৃতই মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাতের ৷

ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের । সদ্যোজাতকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত বলে ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছিল ৷ শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ এরপর শিশুটির শেষকৃত্য করতে গিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন দেখেন, তখনও সে জীবিত ৷ তার শ্বাস চলছে ৷

তড়িঘড়ি সেই শিশুকে পুনরায় নিয়ে আসা হয় ঘাটাল হাসপাতালে । তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসক । এই ঘটনায় চিকিৎসকের নজিরবিহীন শাস্তির দাবি তুলে সরব হয়েছে শিশুটির পরিবার । সরকারি চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও চায় ওই পরিবার ।

'Dead' Child Alive ETV Bharat
হুলুস্থুল ঘাটালের হাসপাতালে

শনিবার ভোরে প্রসব বেদনা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হন মোনালিসা খাতুন নামে এক গৃহবধূ । দুপুর দুটো নাগাদ তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন । যদিও সেই শিশুটি সময়ের অনেক আগেই জন্ম নিয়েছে বলে দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । বিকেল পাঁচটা নাগাদ শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে ।

মাথায় মৃত স্ট্যাম্প দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে, শিশুটিকে প্যাকিং করে রাত নটা নাগাদ তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক । পরে বাড়ি ফিরে শিশুটিকে কবরস্থ করতে গিয়ে সকলে দেখেন শিশুটি জীবিত ৷ তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে । তড়িঘড়ি শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতলে । ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া শিশুটিকে ফের আইসিইউ-তে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয় ।

এই কাহিনীতে তাজ্জব ঘাটালবাসী । ওই চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছে শিশুটির পরিবার । খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিশ । যদিও আজ সকালে জানা যায়, শিশুটিকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি ৷ সকালে তার মৃত্যু হয় । আর এই খবর জানতে পেরে মৃতের পরিবারের লোকজন হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন । এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় ।

শিশুটির বাবা আলি আহমেদ খানের প্রশ্ন, শিশুকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে দেওয়ার পর সেই শিশু কীভাবে বেঁচে ওঠে ? তাছাড়া এই শিশুটিকে যে কয়েক ঘণ্টা প্যাকিং করে রাখা হয়েছিল, তার জন্যও তার বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি । তাই তাঁর সন্তানের মৃত্যুর সম্পূর্ণ দায়িত্ব ওই ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলে দাবি করে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন তিনি । যাতে আগামী দিনে কোনও শিশুর ক্ষেত্রে এ রকম ঘটনা না ঘটে !

আরও পড়ুন: 2 মাসে রাজ্যে অন্তত 123 শিশুর মৃত্যু, গরম বাড়ায় কমছে রোগের প্রকোপ

সমাধি দেওয়ার আগেই নড়ে উঠল সদ্যোজাত

ঘাটাল, 9 এপ্রিল: সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল সরকারি হাসপাতাল ৷ সেই শিশুর দেহ সমাধি দিতে গিয়েই চমকে উঠলেন পরিবারের সদস্যরা । নড়েচড়ে ওঠে একরত্তি ৷ তাই দেখেই হুলুস্থুল পড়ে যায় ৷ জানা যায়, তখনও প্রাণ রয়েছে শিশুটির শরীরে ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের হাসপাতালে ৷ তড়িঘড়ি সেই শিশুকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি ৷ কয়েক ঘণ্টা পরই ফের হাসপাতালের তরফে জানানো হয় যে, সব শেষ ৷ এ বার প্রকৃতই মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাতের ৷

ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের । সদ্যোজাতকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত বলে ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছিল ৷ শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ এরপর শিশুটির শেষকৃত্য করতে গিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন দেখেন, তখনও সে জীবিত ৷ তার শ্বাস চলছে ৷

তড়িঘড়ি সেই শিশুকে পুনরায় নিয়ে আসা হয় ঘাটাল হাসপাতালে । তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসক । এই ঘটনায় চিকিৎসকের নজিরবিহীন শাস্তির দাবি তুলে সরব হয়েছে শিশুটির পরিবার । সরকারি চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও চায় ওই পরিবার ।

'Dead' Child Alive ETV Bharat
হুলুস্থুল ঘাটালের হাসপাতালে

শনিবার ভোরে প্রসব বেদনা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হন মোনালিসা খাতুন নামে এক গৃহবধূ । দুপুর দুটো নাগাদ তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন । যদিও সেই শিশুটি সময়ের অনেক আগেই জন্ম নিয়েছে বলে দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । বিকেল পাঁচটা নাগাদ শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে ।

মাথায় মৃত স্ট্যাম্প দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে, শিশুটিকে প্যাকিং করে রাত নটা নাগাদ তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক । পরে বাড়ি ফিরে শিশুটিকে কবরস্থ করতে গিয়ে সকলে দেখেন শিশুটি জীবিত ৷ তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে । তড়িঘড়ি শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতলে । ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া শিশুটিকে ফের আইসিইউ-তে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয় ।

এই কাহিনীতে তাজ্জব ঘাটালবাসী । ওই চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছে শিশুটির পরিবার । খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিশ । যদিও আজ সকালে জানা যায়, শিশুটিকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি ৷ সকালে তার মৃত্যু হয় । আর এই খবর জানতে পেরে মৃতের পরিবারের লোকজন হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন । এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় ।

শিশুটির বাবা আলি আহমেদ খানের প্রশ্ন, শিশুকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে দেওয়ার পর সেই শিশু কীভাবে বেঁচে ওঠে ? তাছাড়া এই শিশুটিকে যে কয়েক ঘণ্টা প্যাকিং করে রাখা হয়েছিল, তার জন্যও তার বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি । তাই তাঁর সন্তানের মৃত্যুর সম্পূর্ণ দায়িত্ব ওই ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলে দাবি করে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন তিনি । যাতে আগামী দিনে কোনও শিশুর ক্ষেত্রে এ রকম ঘটনা না ঘটে !

আরও পড়ুন: 2 মাসে রাজ্যে অন্তত 123 শিশুর মৃত্যু, গরম বাড়ায় কমছে রোগের প্রকোপ

Last Updated : Apr 9, 2023, 4:28 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.