বান্দিপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর), 10 জুলাই : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বান্দিপুরে ৷ তৃণমূলের স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দলের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, নীলকমল পণ্ডিত নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্য দুর্নীতি করছেন সরকারি প্রকল্প নিয়ে ৷ তাই তিনি জনরোষের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন অন্য এক তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ ৷ ওই নেতার অনুগামীদের হাতেই নীলকমল প্রহৃত হন বলে অভিযোগ ৷ যদিও নীলকমলের দাবি, হীরালাল ভোটের সময় বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন ৷ সেই নিয়ে সরব হওয়াতেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া শিলিগুড়িতে, তিন দিন ধরে বন্ধুর দেহ আগলে ঘরবন্দি যুবক
এদিকে এই নিয়ে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ঘটনাস্থলে যেতে হয় পুলিশকে ৷ তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ ঘটনাস্থল থেকে নীলকমলকে উদ্ধারকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অন্যদিকে এই নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব ৷ তবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি ৷ তিনি শুধু জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে ৷ বান্দিপুর-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের নীলকমল পণ্ডিতের অভিযোগ, চন্দ্রকোনা-2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের হীরালাল ঘোষের অনুগামীরা বান্দিপুর উত্তর বুথ তৃণমূল কার্যালয়ে তালা দিয়ে দেয় ৷ তিনি এই কাজের বাধা দেন ৷ আর তার জেরেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷ নীলকমলের অভিযোগ, সাম্প্রতিক নির্বাচনে ওই অঞ্চলে বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছেন হীরালাল ও তাঁর লোকজন ৷ আর এখনও বিজেপিকে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে ৷ সেই জন্যই দলীয় কার্যালয়ে তালা দিয়ে দেওয়া হয় ৷ তাঁকে গাছে বেঁধে রাখা হয় ৷ আরও কয়েকজনকে তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : পুলিশি হানায় মারধর ও গুলি চালানোর অভিযোগে মাটিকুন্ডায় তৃণমূলের অবরোধ
যদিও এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ । তিনি বরং পালটা নীলকমলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, ওই এলাকায় বেশকিছু মানুষের রেশন বন্ধ এবং একশো দিনের কাজও নিজের মর্জিমতো চালাচ্ছেন নীলকমল ৷ সেসব নিয়ে সম্প্রতি বাধা দেওয়া হলে তাঁর বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে ৷ ওই এলাকায় বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই ।