মেদিনীপুর, 10 জানুয়ারি : দেশ তথা রাজ্যের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ ৷ আপাতত কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ চালু হলেও লকডাউনের পথে এগোয়নি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার ৷ তবে সংক্রমণের হার এভাবে বাড়তে থাকলে লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়তো বাধ্য হবে প্রশাসন ৷ সেই আশঙ্কাতেই ভুগছেন পথে বেরিয়ে খেটে খাওয়া মানুষগুলি ৷ ফের লকডাউন হলে সংসার কীভাবে চলবে সেটা ভেবেই শিরদাঁড়ার দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের টোটো চালকদের ৷
রাজ্যজুড়ে টোটোর রমরমা শুরু হয়েছে বেশ কয়েকবছর ধরে ৷ প্রচুর শিক্ষিত যুবকও চাকরি না পেয়ে টোটো চালিয়ে অন্ন সংস্থানের পথ খুঁজে নিয়েছেন ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর তথা জঙ্গলমহলের বিশাল সংখ্যক মানুষ রয়েছেন যাঁরা এই টোটো চালিয়ে দিন রুটি রুজি আয় করেন ৷ 2020 সালের লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছিলেন বহু মানুষ ৷ জরুরি পরিষেবা ছাড়া যানবাহন বন্ধ হয়ে যায় ৷ 2020-র লকডাউনে টোটো চালকদের পরিবারগুলি চরম আর্থিক দৈন্যতা দেখেছে ৷ লোন নিয়ে টোটো কিনে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন এই মানুষগুলি ৷
চার-পাঁচ বছর ধরে মেদিনীপুর শহরে টোটো চালাচ্ছেন দেবাশিস পাত্র ৷ বলছেন, "একসময় চাকরি-বাকরি না পেয়ে টোটো নিয়ে নেমে পড়েছিলাম ৷ যা আয় হয় তাতে কোনমতে সংসারটা চলে যায় ৷ কিন্তু যেভাবে প্রতিদিন করোনা বাড়ছে এবং সরকার যা পদক্ষেপ করছে তাতে আমরা আতঙ্কিত । 2020 সালের মতো লকডাউন হলে না খেতে পেয়ে মরতে হবে । কারণ করোনা ভাইরাস যেমন ভয়ঙ্কর তার থেকেও ভয়ঙ্কর পেটের ক্ষুধা ।" তাই সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, যেন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা না করা হয় ৷ একই মত মিলন দাস, আনসার খানদের মতো টোটো চালকদেরও ৷
আরও পড়ুন : Third Wave Effect : ফের লকডাউনের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে বর্ধমানের খাবারের দোকানদারদের
যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে লকডাউন শেষ পন্থা বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল । এখন অপেক্ষা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের উপর ৷ সেদিকেই তাকিয়ে মিলন, পান্নালাল, দেবাশিস, নওসাদরা ৷