মেদিনীপুর, 7 ডিসেম্বর : প্রয়াত মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি ৷ আজ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ৷ মেদিনীপুরে সভা শেষ করে প্রয়াত বিধায়কের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পরিবারকে সমবেদনা জানান তিনি ৷ দেন পাশে থাকার আশ্বাস ৷
মেদিনীপুর বিধানসভার দু'বারের বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি ৷ গুরুতর অসুস্থ হয়ে এস এস কে এম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে দিন তিনেক আগে ভরতি হয়েছিলেন । কিন্তু প্রবীণ এই বিধায়কের অবস্থা ক্রমেই সংকটজনক হয়ে ওঠে । রবিবার বিকাল থেকে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয় বলে জানা যায় । এরপর, রাত ১০ টা নাগাদ হঠাৎ করে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর চাউর হয়ে যায় ৷ শহরের বিভিন্ন পার্টি অফিসে, দলীয় পতাকাও অর্ধনমিত করে রাখার কাজ শুরু হয় । যদিও মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে জানা যায়, তিনি 'ভেন্টিলেশনে' আছেন ৷ তাঁর অবস্থা সংকটজনক হলেও, তিনি প্রয়াত হননি ৷
আজ মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন জানান, "মৃগেনদা গুরুতর অসুস্থ, আমার মন তাঁর কাছেই পড়ে আছে ৷" এরপরই সভা শেষে, তিনি সরাসরি চলে আসেন মেদিনীপুর শহরের সিপাইবাজারে মৃগেন্দ্রনাথ মাইতির বাসভবনে। সেখানে তিনি জানান, ‘‘প্রয়াত হয়েছেন প্রবীণ এই বিধায়ক ।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত বিধায়কের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে শোক জ্ঞাপন করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন ৷ তিনি বলেন, "দীর্ঘদিনের সৈনিককে হারিয়ে আমি মর্মাহত ৷ তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা তাঁর পরিবারের পাশে আছি ।"
জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন মৃগেনবাবু । তাঁর হাই ব্লাড সুগার এবং ব্লাড প্রেসার ছিল । ফলে, বারবার অসুস্থ হয়েছেন তিনি। কলকাতা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেও এসেছিলেন । কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়। প্রথমে, মেদিনীপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয় । সেখানেই, ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান বিধায়ক ৷
বিধায়কের পরিজনরা বলেন, ‘‘দিদিমণি খবর পেয়েই দৌড়ে আসেন। গত তিন দিন ধরে অসুস্থ হয়ে ভরতি ছিলেন মৃগেন মাইতি । দিদিমণি খবর পেয়ে আসেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে গেছেন।’’