অজবনগর (পশ্চিম মেদিনীপুর), 10 অগস্ট: তৃণমূলের জয়ী পাঁচ প্রার্থীকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে প্রাক্তন প্রধান ৷ এক তৃতীয়াংশ জয়ী প্রার্থী না থাকায় বন্ধ হয়ে গেল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। যদিও এই ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়েই এখনও সামলে উঠতে পারেনি, তারা আবার কী বোর্ড গঠন করবে ?
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের অজবনগর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের। জানা গিয়েছে, অজবনগর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট 16টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে 11টি এবং বিজেপি পেয়েছে পাঁচটি আসন। দলের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ছিল বোর্ড গঠন। তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী রিনা ধাড়া প্রধান, উপপ্রধান গোপাল মাইতির নাম এসেছে রাজ্য কমিটি থেকে। এতেই বেঁকে বসেন প্রাক্তন প্রধান রাজকুমার দাস। রাজকুমার দাসের দাবি তাঁকে উপপ্রধান করতে হবে, তাই দলের নির্দেশ অমান্য করে পাঁচ জয়ী প্রার্থী-সহ তিনি মোট ছয় জয়ী প্রার্থী গা ঢাকা দিয়েছেন। জয়ী ছয় প্রার্থী না থাকার ফলেই স্থগিত হল অজবনগর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। আর এই ঘটনাকে নিয়েই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা ৷ ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই বন্ধ হল বোর্ড গঠন।
এলাকার এক তৃণমূল নেতা সঞ্জয় দাস বৈরাগী বলেন, "দলের নির্দেশ মতো আজকে প্রধান এবং উপপ্রধান নিয়ে বোর্ড গঠনের কথা ছিল। সেই মতো দল থেকে প্রধান এবং উপপ্রধানের নাম নির্ধারিত করে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সকাল থেকেই জয়ী প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান সহ আমাদের মোট ছয় জন প্রার্থী গা ঢাকা দিয়েছে। তাঁরা কোথায় গিয়েছে কোথায় আছে সে সম্বন্ধে আমরা কিছুই জানি না। কারণ হিসেবে জানা যায়, যে তিনি উপপ্রধান হওয়ার দাবিদার ছিলেন ৷ কিন্তু দল তাঁর নাম পাঠায়নি। সেই কারণে তাদের না পেয়ে তৃণমূল আজ বোর্ড গঠন করতে পারল না। মূলত এই পঞ্চায়েতে 16টির মধ্যে 11টি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। যেহেতু সেই ছয় জন নেই তাই এই বোর্ড অসমাপ্তই রয়ে গেল।"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে তালা, বোমাবাজি; বোর্ড গঠনকে ঘিরে ফুরফুরা শরিফে ধুন্ধুমার
অন্যদিকে, এই ছয় জন তৃণমূল প্রার্থী গা ঢাকা দেওয়ায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, "শাসক দল তার নিজের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্ত। তারা নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কাটিয়ে উঠতে পারছে না। যার জন্যই বোর্ড গঠন করা গেল না। এটা শুধু আমাদের এই ঘাটাল এলাকায় নয়, এটা রাজ্যের সমস্ত জায়গায় করছে। আগামিদিনে এই তৃণমূল নামক দলটা রাজ্যে থাকবে না।"