মেদিনীপুর, 9 সেপ্টেম্বর: এবার পুজো হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ শাসক দলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে (Medinipur DurgaPujo 2022)। আর এই পুজো চুরির অভিযোগে সরগম পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল । মূলত মেদিনীপুর পৌরসভার 23নং ওয়ার্ডে শরৎপল্লী নাগরিক সমিতির পুজো হয়ে আসছে ৷ দীর্ঘ 48 বছর ধরে চলছে এই পুজো । চলতি বছরে 49 তম বর্ষে পদার্পন করল এই পুজো । একদিকে শরৎপল্লী নাগরিকবৃন্দের পুজোর প্যান্ডেলের পাশাপাশি বিপরীত দিকেও একই প্যান্ডেল হচ্ছে আর তারও নাম শরৎপল্লী নাগরিক সমিতি। আর এই দু’টো প্যান্ডেল একই মাঠে তৈরি ঘিরে জোর জল্পনা। কেন একই মাঠে এবং একই পাড়ায় দু‘টো দুর্গাপুজো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে একাধিক।
পুরনো শরৎপল্লী নাগরিক সমিতির অভিযোগ, এই পুজো তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে করছেন ৷ কিন্তু এবারে ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দ্রানি দাস আরও একটি পুজো শুরু করেন। আর তা ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কারণ তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দ্রানী দাস একটি পুজো করছেন ৷ চাঁদা তোলাও শুরু করে দিয়েছে । আর তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে মূল নাগরিক সমিতির পুজো উদ্যোক্তারা । কারণ একই পাড়ায় দু’টো পুজোর চাঁদা দিতে অস্বীকার করছেন এলাবাসী ৷ বাধ্য হয়েই নাগরিক সমিতির পুরনো মানুষজন দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের কাছে। আবেদন করেছেন তাদের পুরনো পুজো ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আদালতের পক্ষ থেকে চন্দ্রানী দাসের পুজোটি বন্ধ কারার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা নামতে নারাজ কাউন্সিলর ৷
আরও পড়ুন: জয়পুরের রাজবাড়িতে আজও পূজিত হন 'সোনার দুর্গা'
এ বিষয়ে শাসকদলের তথা পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান জানান, এটা পুজো চুরি নয় বরং দু‘টো পুজো তো হতেই পারে। তবে দু‘পক্ষ কে নিয়ে বসার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু এক পক্ষ হাজির হলেও আরেক পক্ষ আসেনি।
বিজেপি মুখপত্র অরূপ দাস বলেন, ‘‘অনুদানের টাকা পেতেই নতুন করে পুজো চুরিতে নেমেছে কাউন্সিলর । শাসক দলের যা চরিত্র তাই তারা করে বেড়াচ্ছে।গোটা রাজ্যজুড়েই অবৈধ কাজকারবারে জড়িত শাসক দলের নেতা মন্ত্রী বিধায়ক এবং সাংসদরা । আমরা বারংবার অভিযোগ করেছি এবং এবিষয়ে কোর্ট কে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে,এটা নতুনত্ব কিছু নয়।’’