চন্দ্রকোনা, 8 অগস্ট: পশ্চিমবঙ্গের গরুপাচার কাণ্ডে (West Bengal Cattle Smuggling Case) শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) নন, জড়িত রয়েছেন শাসকদলের সকলস্তরের নেতাকর্মীরা ৷ আর তাঁদের মদত দিয়েছেন পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিক থেকে শুরু করে শীর্ষস্তরের কর্তারাও ৷ বীরভূম, মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী থানাগুলির বহু কর্মী ও আধিকারিক গরুপাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির এঁদের সকলকে তদন্তের আওতায় আনা উচিত ৷ সোমবার চন্দ্রকোনায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসে একথা বলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলেনতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷
এদিন চন্দ্রকোনা রোডে কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস পালন করা হয় ৷ সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে পৌঁছন শুভেন্দু ৷ সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়-সহ দলের অন্য নেতা ও কর্মীরা ৷ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পালনের মাঝেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্য়ের নানা অংশে পাচারচক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ৷ কয়লা, বালি, পাথর থেকে শুরু করে গরু, সবকিছুই পাচার করে দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও তাঁর মন্ত্রকের তৎপরতায় পাচারে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে ৷ একের পর এক তদন্তে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য ৷
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: ভর্তি নিল না এসএসকেএম, হাসপাতাল চত্বরে অনুব্রতর উদ্দেশে ধেয়ে এল 'গরু চোর' কটাক্ষ!
এই প্রেক্ষিতেই অনুব্রত মণ্ডল-সহ শাসকদলের অন্য় নেতা-কর্মীদের নিশানা করেন শুভেন্দু ৷ পুলিশের ভূমিকারও কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন তিনি ৷ প্রসঙ্গত, এদিনই কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর ৷ কিন্তু, তিনি সেই হাজিরা এড়িয়ে চলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ৷ তবে, স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, অনুব্রতকে ভর্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই ৷ এরপর চিনার পার্কের ফ্ল্য়াটে ফিরে আসেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি ৷ পরে সেখান থেকে তাঁর গাড়ি পথে বেরোলেও দলীয় সূত্রের তরফে দাবি করা হয়, অনুব্রতর গন্তব্য সিবিআই দফতর নয়, বরং বীরভূম !
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য হল, সাধারণ মানুষ চিকিৎসার প্রয়োজনেও এসএসকেএম-এ ভর্তি হতে পারেন না ৷ অথচ, নানা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শাসকদলের নেতারা অনায়াসে এসএসকেএম-এ আশ্রয় খুঁজতে চলে যান ! সরকারি হাসপাতালের এমন আচরণ দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার বলেই মনে করেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা ৷