খড়গপুর , 27 এপ্রিল : খড়গপুর IIT -এর ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার । মৃতের নাম ভবানী বালা কোন্ডলা রাও(28) ৷ তিনি মেক্যানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তরুণ গবেষক ৷ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে খড়গপুর থানার পুলিশ ৷
জানা গেছে , মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডি কে পাথেরিয়ার অধীনে গবেষণা করছিলেন বছর আঠাশের ভবানী বালা কোন্ডলা রাও নামের ওই তরুণ গবেষক । তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়াতে । 2015 সালে স্কলারশিপ নিয়ে IIT খড়গপুরে গবেষণার সুযোগ পান । মূলত আম্বেদকর ছাত্রাবাসের ডি ব্লকের 245 নম্বর ঘরে থাকতেন । লকডাউনে সব ছাত্র চলে গেলেও কয়েকজন ছিলেন । তিনিও সেখানেই থেকে গেছিলেন পড়াশোনার জন্য । ত
থ্য অনুযায়ী , মাত্র দু'মাস আগে ফেব্রুয়ারি মাসে এই তরুণ গবেষকের বিয়ে হয়েছিল । ঘটনার সূত্র অনুযায়ী , গ্রামের বাড়ি থেকে সোমবার সকালে বেশ কয়েকবার তাঁকে ফোন করা হয় ৷ কিন্তু কোনও উত্তর না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোক সোশাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে ওই পড়ুয়ার এক বন্ধুকে ফোন করে তাঁর খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে । এরপর সেই বন্ধুও তাঁকে ফোনে না পেয়ে ছুটে যায় তাঁর ঘরে । বারবার দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পর দরজা না খোলায় জানলা দিয়ে ওই বন্ধু রাও-এর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান । এরপর খড়গপুর পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে ৷
পড়াশোনায় ভালো এবং হাসিখুশি এই তরুণ গবেষক হঠাৎ কেন আত্মহত্যা করল সেই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে । নব বিবাহিতা স্ত্রীর সঙ্গে কোনও মনোমালিন্য না পরিবারের সঙ্গে সমস্যা নাকি পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছিল এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ । একটি সূত্র অনুযায়ী জানা যায় , মৃতের একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি এই ল্যাপটপ থেকে আত্মহত্যার কোনও সূত্র পাওয়া যায় কি না তাও খতিয়ে দেখেছে পুলিশ । উল্লেখ্য , কয়েকদিন আগে খড়গপুর IIT থেকে এইরকমই এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ ৷ কেন এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে , তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ৷