মেদিনীপুর, 16 সেপ্টেম্বর : সাত সকালেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে (Medinipur Central Bus Stand) । সরকারি বাস চালকের গাফিলতিতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির ৷ গুরুতর আহত আরও এক ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে মেদিনীপুরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে বাস দাঁড় করিয়ে ব্রেক না দিয়ে নেমে পড়েছিলেন বাসের চালক । তারপরেই বাসের বনেট খোলার চেষ্টা করেন খালাসি । কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকা বাস হঠাৎই পিছন চলে যায় ৷ আর তাতেই পিষ্ট হন বাবা ও ছেলে (Bus Accident) ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে এসে পৌঁছায় যাত্রিবাহী একটি সরকারি বাস । যাত্রী নামা শুরু করতেই ওই বাসের চালক বাসটিকে দাঁড় করিয়ে বাথরুমে চলে যান । এরপর কন্ডাক্টার গাড়ির বনেট খুলে মালপত্র বের করার চেষ্টা করেন । বাসের চালক হ্যান্ড ব্রেক না মেরে রাখায় সেই মুহূর্তে বাসটি পেছনে গড়াতে শুরু করে ।
সেই সময় সরকারি বাসের পেছনে আরও একটি বাস দাঁড়িয়েছিল । আর এই সরকারি বাসের পেছন দিয়ে বাবা ও ছেলে হেঁটে পেরোনোর সময় দুটো বাসের মাঝখানে পড়ে যান ৷ এর জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে৷ সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীরা চিৎকার শুরু করেন ৷ ছুটে আসেন অন্য গাড়ির চালকেরা ৷ তাঁরা বাসটিকে সরানোর ব্যবস্থা করেন ৷
বাবা ও ছেলে দু'জনকেই উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Medinipur Medical College Hospital) পাঠানো হয় । হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় বছর 40-এর রাজনারায়ণ সামন্তের । অপরদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রাজ নারায়ণের বাবা ।
অন্য বাসের চালক ও প্রত্যক্ষদর্শী শেখ রাজু বলেন, ‘‘সরকারি বাসের ওই চালক বাস দাঁড় করানোর সময় হ্যান্ড ব্রেক না দিয়ে বাথরুমে চলে গিয়েছিলেন । কন্টাকটার বিষয়টি বুঝতে না পেরে বনেট খোলার চেষ্টা করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে ।’’
এই ঘটনায় নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ওই সরকারি বাসের চালক শ্রীকান্ত মণ্ডল । তিনি বলেন, ‘‘কোনও ভাবে বনেট খোলার সময় নিউট্রাল হয়ে যাওয়ায় বাসটি পেছনের দিকে গড়িয়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে ।’’
আরও পড়ুন : সামনে পুলিশ সুপারের দফতর, দেদার বিক্রি হচ্ছে খাঁচাবন্দি পাখি