পশ্চিম মেদিনীপুর, 24 ডিসেম্বর: আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা ৷ ঘড়ির কাটায় রাত বারোটা বাজলেই বড়দিন বা ক্রিসমাস ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের সেখপুরায় একমাত্র ক্যাথলিক চার্চে জোরকদমে চলছে তারই প্রস্তুতি ৷ চার্চ সংলগ্ন এলাকা এবং পুরো শহরকে রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে ৷ রাত বারোটা বাজলেই ক্যারল শুরু হবে ৷ তবে, বর্তমান বিশ্বে যে যুদ্ধের পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন চার্চের ফাদার ভিনসেন্ট লোবো ৷
বড়দিন উপলক্ষে মেদিনীপুর শহরে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ৷ তার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে ৷ 25 ডিসেম্বর রাতে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে ৷ সঙ্গীত পরিবেশন, নাচ-সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে চার্চ কর্তৃপক্ষ ৷ সেখপুরা চার্চের স্কুলের মাঠে বড়দিন উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয় ৷ এবারেও শতাধিক দোকান বসেছে মেলায় ৷ ঘর সাজানোর সরঞ্জাম, আসবাবপত্র, খেলনা, প্রসাধনী থেকে শুরু করে নানান জিনিসের স্টল নিয়ে বসতে শুরু করেছেন দুরদুরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা ৷
সঙ্গে রয়েছে একাধিক রাইডস যেমন, নাগরদোলা, ডিসকো কার, মিকি মাউস-সহ নানান রাইডস ৷ এবার এই মেলা 43 বছরে পড়েছে ৷ মেলাকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টান ধর্মের পাশাপাশি, মেদিনীপুরের অন্যান্য মানুষ ভিড় জমে চার্চের স্কুল মাঠে ৷ সাতদিন ধরে এই মেলা চলবে ৷ অর্থাৎ, 25 ডিসেম্বর থেকে 1 জানুয়ারি পর্যন্ত ৷ শীতের ছুটিতে এই মেলাকে কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠেন মেদিনীপুর শহরের মানুষ ৷ বড়দিন উপলক্ষে সেখপুরা ক্যাথলিক চার্চকে রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে ৷ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে চার্চের প্রাঙ্গণ ৷
ইতিমধ্যে, বড়দিনের প্রার্থনার জন্য চার্চের ভিতরেও সুন্দর করে সাজানো হয়েছে ৷ চার্চের ফাদার ভিনসেন্ট লোবো বলেন, ‘‘বিশ্ব এই মুহূর্তে অশান্ত ৷ বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে ৷ এই পরিস্থিতিতে ভগবান যিশুর মতো একজনকে প্রয়োজন ৷ যিনি নিজের জীবনকে রিক্ত করে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন এই বিশ্ব সংসারে ৷ সেই সঙ্গে সমাজে মানুষে মানুষে যে ভেদাভেদ তৈরি হয়েছে, সেই বিভেদ মেটাতেও যিশুর মতোই কাউকে প্রয়োজন ৷ আমরা মানুষ, আমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান ৷ এখানে কেউ অস্পৃশ্য নয় ৷ সবাই আমরা একে অপরের ভাগীদার ৷ আমাদের সকলকে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়ে চলতে হবে ৷ যেটা ঈশ্বর যিশু চেয়েছিলেন ৷’’
আরও পড়ুন: