ETV Bharat / state

Rickshaw Pullers in Crisis: টোটো, অটোর দাপটে বিপাকে মেদিনীপুরের রিকশাচালকরা

মেদিনীপুর (Medinipur) শহরে দাপট বাড়ছে টোটো এবং অটোর ৷ ফলে রুটি-রুজি হারিয়ে বিপাকে পড়ছেন রিকশাচালকরা (Rickshaw Pullers) ৷

Rickshaw Pullers in Medinipur facing Crisis for increasing demand of Toto and Auto
Rickshaw Pullers in Crisis: টোটো, অটোর দাপটে বিপাকে মেদিনীপুরের রিকশাচালকরা
author img

By

Published : Nov 17, 2022, 7:02 PM IST

মেদিনীপুর, 17 নভেম্বর: যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না-পেরে ঘোর বিপাকে মেদিনীপুরের (Medinipur) রিকশাচালকরা (Rickshaw Pullers) ৷ যত দিন যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের এই শহরে টোটো (Toto), অটোর (Auto) দাপট বাড়ছে ৷ ইদানীংকালের এই যানগুলি আকারে ছোট হলেও অনেক বেশি যাত্রী একসঙ্গে বসতে পারেন ৷ ফলে মাথাপিছু ভাড়া রিকশার তুলনায় খানিকটা কম হয় ৷ তাছাড়া, রিকশার থেকে দ্রুত গতিতে গন্তব্যে পৌঁছনো যায় ৷ সেই কারণেই আমজনতার মধ্যে রিকশার তুলনায় টোটো এবং অটোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে ৷ টোটো, অটোর নিত্যনতুন রুট তৈরি হচ্ছে ৷ আর সেই দাপটে হাঁসফাঁস দশা হচ্ছে রিকশাওয়ালাদের ৷

মেদিনীপুর শহরেই দীর্ঘদিন ধরে রিকশা চালান গোবিন্দ, হারু, চন্দনরা ৷ তাঁরা জানালেন, মালিকের কাছ থেকে রিকশা ভাড়া নিয়ে শহরের রাস্তায় নামেন তাঁরা ৷ এর জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া দিতে হয় ৷ আগে প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে 500 থেকে 700 টাকা রোজগার হত ৷ কিন্তু, এখন 200-300 টাকার বেশি ওঠে না ৷ বাজার যেদিন মন্দা থাকে, সেদিন সেটুকুও জোটে না ৷ ফলে মালিকের টাকা দিতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয় রিকশাচালকদের ৷

বিপাকে মেদিনীপুরের রিকশাচালকরা

আরও পড়ুন: করোনাকালে কাজ করিয়ে টাকা দিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর ! অবস্থান বিক্ষোভে 32 স্বাস্থ্যকর্মী

এই অবস্থায় পেট চালাতে বিকল্প পথে রোজগার করতে হচ্ছে রিকশাচালকদের ৷ অনেকেই আছেন, যাঁরা সারামাস রিকশা টানেন না ৷ অন্যান্য কাজ করেন ৷ যেদিন অন্য কোনও কাজ পান না, সেদিনই শুধু রিকশা নিয়ে নামেন রাস্তায় ৷ কেউ আবার সারাদিন রিকশা চালানোর পর বিকেল থেকে বিভিন্ন দোকান, রেস্তোরাঁয় কাজ করেন ৷ জল তোলা, বাসন মাজার মতো ফরমায়েশ খেটে রোজগারের ব্যবস্থা করেন ৷ এছাড়াও অনেকে শ্রমিকের কাজ করেন ৷ আপাতত এভাবেই জোড়াতাপ্পি দিয়ে জীবন চলছে ৷

সমস্য়া যে একটা তৈরি হয়েছে, তা মানছেন মেদিনীপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন অনিমা সাহাও ৷ তিনি বলেন, "আগে শহরে প্রায় 300 রিকশা ছিল ৷ এখন তা কমতে কমতে 150 থেকে 180-তে এসে ঠেকেছে ৷" অনিমার আশ্বাস, রিকশাওয়ালারা যদি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা বা অন্য কোনও সাহায্য চান, তাহলে পৌরসভা নিশ্চয় তাঁদের পাশে দাঁড়াবে ৷ যদিও রিকশাওয়ালারা এত কিছু জানেন না ৷ তাঁদের আবেদন, দুর্দশা ঘোচাতে সরকার যদি নিজে থেকেই কোনও পদক্ষেপ করে তো ভালো হয় ৷ তেমন কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত অবশ্য মেলেনি ৷

মেদিনীপুর, 17 নভেম্বর: যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না-পেরে ঘোর বিপাকে মেদিনীপুরের (Medinipur) রিকশাচালকরা (Rickshaw Pullers) ৷ যত দিন যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের এই শহরে টোটো (Toto), অটোর (Auto) দাপট বাড়ছে ৷ ইদানীংকালের এই যানগুলি আকারে ছোট হলেও অনেক বেশি যাত্রী একসঙ্গে বসতে পারেন ৷ ফলে মাথাপিছু ভাড়া রিকশার তুলনায় খানিকটা কম হয় ৷ তাছাড়া, রিকশার থেকে দ্রুত গতিতে গন্তব্যে পৌঁছনো যায় ৷ সেই কারণেই আমজনতার মধ্যে রিকশার তুলনায় টোটো এবং অটোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে ৷ টোটো, অটোর নিত্যনতুন রুট তৈরি হচ্ছে ৷ আর সেই দাপটে হাঁসফাঁস দশা হচ্ছে রিকশাওয়ালাদের ৷

মেদিনীপুর শহরেই দীর্ঘদিন ধরে রিকশা চালান গোবিন্দ, হারু, চন্দনরা ৷ তাঁরা জানালেন, মালিকের কাছ থেকে রিকশা ভাড়া নিয়ে শহরের রাস্তায় নামেন তাঁরা ৷ এর জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া দিতে হয় ৷ আগে প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে 500 থেকে 700 টাকা রোজগার হত ৷ কিন্তু, এখন 200-300 টাকার বেশি ওঠে না ৷ বাজার যেদিন মন্দা থাকে, সেদিন সেটুকুও জোটে না ৷ ফলে মালিকের টাকা দিতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয় রিকশাচালকদের ৷

বিপাকে মেদিনীপুরের রিকশাচালকরা

আরও পড়ুন: করোনাকালে কাজ করিয়ে টাকা দিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর ! অবস্থান বিক্ষোভে 32 স্বাস্থ্যকর্মী

এই অবস্থায় পেট চালাতে বিকল্প পথে রোজগার করতে হচ্ছে রিকশাচালকদের ৷ অনেকেই আছেন, যাঁরা সারামাস রিকশা টানেন না ৷ অন্যান্য কাজ করেন ৷ যেদিন অন্য কোনও কাজ পান না, সেদিনই শুধু রিকশা নিয়ে নামেন রাস্তায় ৷ কেউ আবার সারাদিন রিকশা চালানোর পর বিকেল থেকে বিভিন্ন দোকান, রেস্তোরাঁয় কাজ করেন ৷ জল তোলা, বাসন মাজার মতো ফরমায়েশ খেটে রোজগারের ব্যবস্থা করেন ৷ এছাড়াও অনেকে শ্রমিকের কাজ করেন ৷ আপাতত এভাবেই জোড়াতাপ্পি দিয়ে জীবন চলছে ৷

সমস্য়া যে একটা তৈরি হয়েছে, তা মানছেন মেদিনীপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন অনিমা সাহাও ৷ তিনি বলেন, "আগে শহরে প্রায় 300 রিকশা ছিল ৷ এখন তা কমতে কমতে 150 থেকে 180-তে এসে ঠেকেছে ৷" অনিমার আশ্বাস, রিকশাওয়ালারা যদি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা বা অন্য কোনও সাহায্য চান, তাহলে পৌরসভা নিশ্চয় তাঁদের পাশে দাঁড়াবে ৷ যদিও রিকশাওয়ালারা এত কিছু জানেন না ৷ তাঁদের আবেদন, দুর্দশা ঘোচাতে সরকার যদি নিজে থেকেই কোনও পদক্ষেপ করে তো ভালো হয় ৷ তেমন কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত অবশ্য মেলেনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.