ক্ষীরপাই, 30 জুন: রোগীদের স্যালাইন দেওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই শুরু হচ্ছে কাঁপুনি়। চিকিৎসায় চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও এই ঘটনায় খতিয়ে দেখার আশা স্বাস্থ্য আধিকারিকের। পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে একের পর এক রোগীদের যখন স্যালাইন দেওয়া হয় তখন আচমকাই রোগীদের কাঁপুনি শুরু হয় বলে অভিযোগ । বিষয়টি নিয়ে রোগীর পরিবারের লোকেরা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জানালে তারা কোনও কর্ণপাত করেনি বলেও অভিযোগ। এরপরেই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে হাসপাতাল চত্বর। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় পুলিশকে।
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালের। জানা যায়, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে ক্ষীরপাই হাসপাতালে বেশ কিছু রোগী ভর্তি হন সম্প্রতি। কিন্তু অভিযোগ কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা রোগীদের স্যালাইন চালানো মাত্রই কাঁপুনি শুরু হয় ৷ এরই সঙ্গে নানা উপসর্গ দেখা দেয় শরীরে। তাছাড়া ত্বকে র্যাশ বের হতে শুরু করে। এই ঘটনায় আতঙ্কে রোগীর পরিবারের লোকেরা কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের জানালে তারা বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের পরিবারের আরও অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে ন্যূনতম স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না ৷ বাইরে থেকে কিনে এনে দিতে হচ্ছে । এই ঘটনায় ক্ষীরপাই হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, স্যালাইনের যে লটটি সম্প্রীতি এসেছে সেইটিতে কিছু ত্রুটি বেরিয়ে যাওয়ার জন্য রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে বলা হচ্ছে। তাছাড়া কাঁপুনির কারণ হিসেবে হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, "স্যালাইনের চ্যানেল থেকেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।তবে পুরো আমরা বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি।"
তবে এ বিষয়ে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারীক সৌম্য শংকর সড়ঙ্গী বলেন, "এই ধরনের খবর আমরা পেয়েছি। আমরা বিষয়টা নিয়ে খতিয়ে দেখছি। সম্ভবত কোনও লটের স্যালাইনের সমস্যা থেকেই এই সমস্যা হয়েছে। তবে যে রোগীদের এই সমস্যা হয়েছে তাদের চিকিৎসা করা শুরু হয়েছে এবং আমরা সেই পুরানো স্যালাইন দিতে বারণও করেছি এবং এই বিষয়ে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ! সিবিআইকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ বিচারপতির
ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনার খবর ক্ষীরপাই আউট পোস্টে গেলে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছায়। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করা হয়। যদিও এই ঘটনায় রোগীর পরিবার পরিজনদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ও নার্সদের ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।