চন্দ্রকোনা 30 নভেম্বর : এবার চন্দ্রকোনায় পড়ল "দাদার অনুগামী"। এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূলের একাংশের কটাক্ষ অস্তিত্ব বাঁচাতে এই পোস্টার। এই নিয়ে চন্দ্রকোনায় সকাল থেকে শুরু রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পালটা কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের ৷ তারা বলেন,"ছাগলে কিনা খায় পাগলে কিনা বলে ৷" ওদের কথায় কিছু আসে যায় না।
কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের চন্দ্রকোনা পৌরসভা এলাকাজুড়ে ছেয়ে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সহ একাধিক পোস্টার, ব্যানারে। এনিয়েই শুরু রাজনৈতিক তরজা। যদিও বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল শিবির। তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ বলেন, "নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতেই কেউ কেউ এসব করছে। যারা করছে তারা কী করেছে তা সবারই জানা, এসব করে বিশেষ কিছু লাভ হবে না।" চন্দ্রকোনায় দাদার অনুগামীর পোস্টার ব্যানারে লেখা সৌজন্য সঞ্চিত মিদ্যা। সঞ্চিত মিদ্যা তৃণমূলের পুরানো নেতা ৷ একসময়ে ব্লকের কার্যকরী সভাপতি সহ কয়েকটি দায়িত্ব সামলেছেন।তবে,একাধিক বিষয়ে মতবিরোধের কারণে ইস্তফা দিয়ে দুরত্ব বাড়িয়েছেন দলের সঙ্গে। তৃণমূল সূত্রের খবর,তৃণমূলের পুরানো কর্মী তথা বিক্ষুব্ধদের একটা অংশ ভিড়েছে "দাদার অনুগামী" হিসাবে।
অনুগামীদের নেতা সঞ্চিত মিদ্যা বলেন, "কে কী বলল তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না।আমরা চন্দ্রকোনায় কী করেছি সবার জানা। শুভেন্দু অধিকারী আমাদের আইকন তাই এই পোস্টার। এরপরই তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন,"ছাগলে কিনা খায় পাগলে কিনা বলে" ওদের কথায় কিছু আসে যায় না।
অপরদিকে, "দাদার অনুগামী" পোস্টার ঘিরে শাসকদলের মধ্যে দ্বন্দ্বে নিজেদের সুবিধা দেখছে BJP। এপ্রসঙ্গে BJP-র চন্দ্রকোনা দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি রাজীব পাল বলেন, "চন্দ্রকোনায় আজকে যারা "দাদার অনুগামী" তারা একসময় তৃণমূল করত ৷ আজ তারাই নিজেদের মধ্যে খাওয়াখায়ি করছে। শুভেন্দু অধিকারী একজন বড় মাপের নেতা ৷ তিনিও তাঁর দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বদের আক্রমণ করছেন। এতে আমাদের মাথাব্যথা নেই।"