দাসপুর, 21 মে: নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগও । ভেঙে পড়েছে ঘরের ছাউনিও । এমনই বেহাল দশা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের । নজর নেই প্রশাসনেরও । এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েও লাভ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের । পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর 1 নম্বর ব্লকের ডিহিচেতুয়া 111 নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এমনই বেহাল দশা ।
বারবার রাজ্যের একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে টিকটিকি, আরশোলা, সাপ পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে । এবার আরেক বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছবি ধরা পড়ল ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিহিচেতুয়া 111 নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রায় 120 জন পড়ুয়া রয়েছে । এই সেন্টার থেকেই এলাকার গর্ভবতী মহিলাদেরও খাবার যায় । অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী অভিযোগ করে বলেন, "বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকাই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বাচ্চাদেরকে পড়াশোনা করতে হয় । টিউবওয়েল থাকলেও তাতে জল নেই । দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের ছাউনির ভগ্নপ্রায় অবস্থা । একপ্রকার ভেঙে ঝুলছে । যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা । প্রশাসনকে বলা সত্ত্বেও কোনও রকম সহায়তা করা হয়নি । দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েও লাভ হয়নি কিছু ।"
কিছুদিনের মধ্যে বর্ষা শুরু হবে । তারমধ্যে ছাউনি ঠিক না হলে বেজায় সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী । এই বিষয়ে ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কথা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়ে বলেন, "সেন্টারটির কী অবস্থা তা দফতরের আধিকারিকদের কাছ থেকে জেনে দ্রুত পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।" এই আশ্বাস শোনার পর কাজ কবে হবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্থানীয়রা ।
আরও পড়ুন: সাপ-ব্যাঙের স্বর্গরাজ্য, 80-রও বেশি পড়ুয়া থাকলেও জরাজীর্ণ অবস্থা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের
প্রসঙ্গত, এই দাসপুরেই একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না করা খাবারে সাপ পড়ার ঘটনা ঘটেছিল । পাশাপাশি, ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনাতেও একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে আরশোলা পাওয়া গিয়েছিল । এই ঘটনায় স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের । তারপরও বেশ কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের হাল এখনও ফেরেনি ।