নছিপুর, 2 অগস্ট : জলমগ্ন ঘাটালে সোমবার মানবিকতার নজির তৈরি করল ঘাটাল পুলিশ ৷ নিজেদের বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় অন্যের বাড়িতে আশ্রিত অবস্থায় মৃত্যু হয় নব্বই বছরের এক বৃদ্ধার ৷ যাতায়াতের পথ বন্ধ ৷ তাই পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চায় মৃতার পরিবার ৷ বোটে করে দেহ বাড়ি থেকে এনে সৎকারের ব্যবস্থা করে ঘাটাল থানার পুলিশ ৷ এমন ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষের সাধুবাদ কুড়িয়েছে পুলিশ ৷
শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ রাস্তাঘাট সবই বন্ধ ৷ সাধারণভাবে যাতায়াতের কথা ভাবাই যাচ্ছে না ৷ ঘাটালের রথীপুরেও একই অবস্থা ৷ বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়া অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল নব্বই বছরের মেনকা সিংকে ৷ সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে মামনি দলুই ৷ বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো ছিলই ৷ এদিন সকালে সেই কারণেই মেনকা সিংয়ে মৃত্যু হয় ৷ এতেই চরম সমস্যায় পড়েন মেয়ে মামনি ৷ তিনি বলেন, "চারিদিকে জল ৷ তার উপর আবার অপরের বাড়িতে মারা গিয়েছেন মা । মৃতদেহ লোকের বাড়িতে কী করে ফেলে রাখব ? তাঁরাও দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল ৷ তাই থানায় ফোন করা হলে স্যারেরাই ব্যবস্থা করে দিলেন ৷"
এদিন মৃতার পরিবারের কাছ থেকে ফোন পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশু ভৌমিক বোট নিয়ে পৌঁছে যান রথীপুরে ৷ পুলিশ কর্মীদের তৎপরতায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘাটালের গোবিন্দপুর এলাকায় দাহ করা হয় । জল যন্ত্রণার মধ্যেই পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগ নজর কাড়ল সাধারণ মানুষের ৷ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মামনি এবং তাঁর প্রতিবেশীরা ৷
দু'দিনের অনবরত বৃষ্টির দরুণ জলমগ্ন হয়েছে ঘাটাল । তার উপর আবার ব্যারেজের জল ছাড়া হয়েছে ৷ ঘাটালের লোকজন কিছুতেই নিস্তার পাচ্ছেন না জল-যন্ত্রণা থেকে । এই অবস্থায় থাকা-খাওয়া এবং পানীয় জল-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় বিষয় পাওয়ার ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি হয়েছে ৷ এই অবস্থায় ঘাটাল পুলিশের এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা ৷
আরও পড়ুন : ghatal flood : শিলাবতীর জলে প্লাবিত ঘাটাল, জলমগ্ন মহকুমা শাসকের দফতরও